জিজ্ঞাসা–১৬৫৪: হিন্দুদের পূজায় চাঁদা দেয়া যাবে কি? দিলে কোনো গুনাহ হবে কি?–শহিদুল্লাহ।
জবাব: পারস্পরিক সাহায্য-সহযোগিতার ক্ষেত্রে ইসলামের মূলনীতি হল, সাহায্য-সহযোগিতা হতে হবে শুধু সৎকর্ম ও আল্লাহভীতির ক্ষেত্রে। গুনাহ ও জুলুমের ক্ষেত্রে কাউকে সহযোগিতা করা যাবে না। আল্লাহ তাআলা বলেন,
وَتَعَاوَنُوا عَلَى الْبِرِّ وَالتَّقْوَى وَلَا تَعَاوَنُوا عَلَى الْإِثْمِ وَالْعُدْوَانِ
তোমরা সৎকর্ম ও আল্লাহভীতিতে একে অন্যের সহযোগিতা করো, গুনাহ ও জুলুমের কাজে একে অন্যের সহায়তা করো না। (সূরা মায়েদা ২)
উক্ত মুলনীতির আলোকে অমুসলিমদের ধর্মীয় উৎসব পুজায় চাঁদা দেয়া নাজায়েয। বরং ফকিহগণ বলেন, এটা কুফরির সমতুল্য। যেমন, আল্লামা ইবন নুজাইম মিসরি রহ. বলেন,
(وَالْإِعْطَاءُ بِاسْمِ النَّيْرُوزِ وَالْمِهْرَجَانِ لَا يَجُوزُ) أَيْ الْهَدَايَا بِاسْمِ هَذَيْنِ الْيَوْمَيْنِ حَرَامٌ بَلْ كُفْرٌ
নওরোজ ও মেলার নামে কিছু দেয়া নাজায়েয। অর্থাৎ এ দুই দিনের নামে প্রদত্ত হাদিয়া হারাম; বরং কুফরি। (তাবইনুল হাকায়েক ৬/২২৮)
উল্লেখ্য, অনেক সময় মুসলিমরা বিভিন্ন কারণে পূজা ইত্যাদিতে সাহায্য করতে বাধ্য হয়। এরূপ পরিপ্রেক্ষিতে সে ইসলাম থেকে বের হয়ে গেছে কিংবা তার বিয়ে ভেঙ্গে গেছে মর্মে ফতওয়া দেয়া যাবে না। তবে কাজটি নিঃসন্দেহে অন্যায় ও ঈমানের দুর্বলতার আলামত। তাই কেউ করে ফেললে তাওবা করতে হবে। (ফাতাওয়া রাহিমিয়া ১/৬৮)
মুসলমানের উচিত তার ধর্ম নিয়ে গর্ববোধ করা। ধর্মীয় বিধানগুলো বাস্তবায়ন করা। লজ্জাবোধ করে অথবা সৌজন্য দেখাতে গিয়ে এক্ষেত্রে কোন শৈথিল্য না দেখানো। বরং আল্লাহকে লজ্জাবোধ করা অধিক যুক্তিযুক্ত।