জিজ্ঞাসা–৯৫০: ঘরের ভিতর কি কুকুর পোষা জায়েজ আছে কি?–Nazifa Islam
জবাব: কেবল শখ করে ঘরে কুকুর রাখা, মানুষের চেয়ে কুকুরের যত্ন বেশি নেওয়া, কুকুরের সঙ্গে মানবীয় সম্পর্ক স্থাপন করা ইসলামে নিষিদ্ধ। (ফতোয়াতে মাহমুদিয়া ১৮/২৬৪ ফতোয়ায়ে আলমগিরি ৪/২৪২)
হাদীস শরীফে এসেছে,
عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ رضي الله عنه عَنْ رَسُولِ اللَّهِ ﷺ قَالَ : مَنْ اقْتَنَى كَلْبًا لَيْسَ بِكَلْبِ صَيْدٍ وَلا مَاشِيَةٍ وَلا أَرْضٍ فَإِنَّهُ يَنْقُصُ مِنْ أَجْرِهِ قِيرَاطَانِ كُلَّ يَوْمٍ
রাসূলুল্লাহ ﷺ বলেছেন, যে ব্যক্তি শিকার করা বা গবাদি পশু অথবা শস্যক্ষেত পাহারা দেওয়ার উদ্দেশ্য ছাড়া কুকুর পালে ঐ ব্যক্তির প্রত্যেকদিন দুই কিরাত পরিমাণ নেকি হ্রাস পায়। (সহীহ মুসলিম ১৫৭৫ জামে তিরমিযী ১৪৮৭)
আর এক হাদীসে আছে, القيراط مثل أُحُد ‘এক কিরাত হলো, উহুদ পাহাড় সমপরিমাণ। ’ (মুসনাদে আহমদ ৪৬৫০)
শায়েখ উমায়ের কোব্বাদী
যদি কুকুর না পুষে শুধু মাত্র খাবার খেতে দিই? আর বিড়াল পোষা কি যায়েয? যদি ঘরে ভিতরে বিড়াল রাখা হয়?
কুকুরকে শুধু খাবার দেয়া নিষেধ নয়। বিড়াল পালা বৈধ। হাদিস শরিফে আছে, আবু হুরাইরা (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেছেন, ‘জনৈক মহিলাকে একটি বিড়ালের কারণে আজাব দেওয়া হয়। সে বিড়ালটিকে বন্দি করে রাখে, এ অবস্থায় সেটি মারা যায়। সে এটিকে বন্দি করে রেখে পানাহার করায়নি এবং তাকে ছেড়েও দেয়নি, যাতে সে (নিজে) জমিনের পোকা-মাকড় খেতে পারে। ‘ (সহিহ বুখারি, হাদিস : ৩৪৮২)
এ হাদিসের ব্যাখ্যায় হাফেজ ইবনে হাজার (রহ.) বলেন, কুরতুবি (রহ.) বলেছেন, এ হাদিস থেকে বিড়াল পালা ও বিড়ালকে বেধে রাখা জায়েজ বলে প্রমাণিত হয়, যদি তাকে খানাপিনা দেওয়ার ব্যাপারে ত্রুটি না করা হয়। (ফাতহুল বারি : ৬/৪১২)
এ ছাড়া আরো কিছু হাদিস রয়েছে, যা থেকে বিড়াল পালা জায়েজ প্রমাণিত হয়।