স্বামীর সামর্থ্য না থাকলে স্ত্রীর যাকাত কিভাবে দিবে?

জিজ্ঞাসা–১৪৪১: আসসালামুআলাইকুম। আমার ১২ ভরি গোল্ড আছে। আমার হাসবেন্ড অল্প বেতনের (৯৫০০) চাকরি করে। আমাদের নতুন বিয়ে হয়েছে। ঈদ উপলক্ষে কিছু বেশতি খরচ আছে। নিজেদের জন্য না; আত্মীয়-স্বজনের জন্য। আবার নতুন সংসারের জন্যও কিছু… গোল্ডের ভরি অনুযায়ী আমার ১২০০০+ যাকাত দিতে হবে। যেটা আমার জন্য একটু কঠিন হয়ে যায়। এই মুহূর্তে আমি কী করতে পারি। কম দেওয়ার কি কোনো নিয়ম আছে? একটু সহজ করে যদি বুঝিয়ে দিতেন। অনেক চিন্তায় আছি।–সুমাইয়া রুহি।

জবাব: وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته

প্রিয় বোন, যাকাত সম্পদের মালিকের উপরই ফরয হয়। তবে সামর্থ্যবান স্বামীর জন্য অর্থের সাথে জড়িত ফরযগুলো আদায়ের ক্ষেত্রে স্ত্রীর সহযোগিতা করা উত্তম। কিন্তু যেহেতু আপনার স্বামীর আপাতত সামর্থ্য নেই, সুতরাং আপনার অলংকারের যাকাত আপনাকেই আদায় করতে হবে। প্রয়োজনে স্বর্ণের কিছু অংশ বিক্রি করে যাকাত দিবেন।

হাদিস শরিফে এসেছে, রাসূলুল্লাহ ﷺ বলেছেন,

ما مِن صاحِبِ ذَهَبٍ ولا فِضَّةٍ لا يؤدِّي منها حَقَّها إلَّا إذا كان يومُ القيامةِ، صُفِّحَتْ له صفائِحُ مِن نارٍ، فأُحمِيَ عليها في نارِ جهنَّمَ، فيُكوى بها جنبُه وجبينُه وظهرُه، كلَّما برُدَت أُعيدَتْ له في يومٍ كان مقدارُه خمسينَ ألفَ سَنةٍ، حتَّى يُقضى بين العبادِ؛ فيَرَى سبيلَه؛ إمَّا إلى الجنَّةِ، وإمَّا إلى النَّارِ

কোন স্বর্ণ ও রৌপ্যের মালিক যদি এগুলোর হক (যাকাত) আদায় না করে তবে কিয়ামতের দিনে তার জন্য আগুনের পাত তৈরি করা হবে। তারপর জাহান্নামের অগ্নিতে উত্তপ্ত করে তা দিয়ে তার পার্শ্বে ও ললাটে, পৃষ্ঠদেশে দাগ দেয়া হবে। এরপর যখন উত্তপ্ততা কমে যাবে তখন পূনরায় তা উত্তপ্ত করা হরে। এভাবে চলতে থাকবে, দিনভর যার পরিমাণ হবে পঞ্চাশ হাজার বছর, যে পর্যন্ত না বান্দাদের মধ্যে ফয়সালা হবে। অতঃপর দেখান হবে তার পথ হয় জান্নাতের দিকে, না হয় জাহান্নামের দিকে। (সহিহ মুসলিম ৯৮৭)

আমরা দোয়া করি, আল্লাহ আপনার স্বামীর উপার্জনে বরকত দান করুন।

والله اعلم بالصواب

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

3 × 3 =