জিজ্ঞাসা-১৫: ভাই,আমার প্রশ্ন হল যে, কয়েকজন মহিলা একখানে হয়েছে। এমতাবস্থায় একজন নামাজের আজান দিল,সেক্ষেত্রে একজন মহিলা ইমাম হয়ে জামাতে নামাজ পড়তে পারবে কিনা?–Harun Rasheed
জবাব : মহিলারা আযান দিতে পারে না। কারণ,তাদের জন্য উচ্চস্বর করা জায়েয নয় –ই’লাউস সুনান ২/১২৪; ইমাম বায়হাকী (রহ.) সহীহ্ সনদে হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে উমার (রা.) হতে বর্ননা করেন নবীজী (সা.) বলেছেন,মহিলাদের উপর আযান ও ইকামত কোনটিই নেই ।— সুনানে কুবরা, হাদীস নং ১৯২০;
তারা আযান দিলেও বিশুদ্ধ হবে না। ‘মুগনিতে’: (২/৬৮) ইবন কুদামাহ বলেন: “আমরা জানি না এ বিষয়ে কারো দ্বিমত রয়েছে।”
মহিলাদের জন্য জামাত জরুরী নয় বরং মহিলাদের জন্য মসজিদে গিয়ে জামাতে শরীক হওয়া নিষেধ। –ফাতহুল বারী ২/২৯০
তবে যদি কোথাও মহিলারা জামাতের সাথে মহিলা ইমামের পিছনে নামায পড়ে তাহলে কতক আলেম বলেন, মহিলাদের নামায আদায় হয়ে যাবে।কারণ, নবী (সা.) উম্মে ওরাকাকে তার ঘরের লোকদের ইমামতি করার অনুমতি দিয়েছেন।–আবু দাঊদ, সালাত অধ্যায়, অনুচ্ছেদ: মহিলার ইমামতি,হাদীস নং ৫৯১;
যদি তারা তা করে তবে ইমাম মাঝখানে দাঁড়াবেন; কারণ আয়িশা (রা) তেমনটি করেছিলেন।
উল্লেখ্য,মহিলার জন্য কোন পুরুষের ইমাম হওয়া নাজায়েজ।হযরত জাবের ইবনে আব্দুল্লাহ (রা.)থেকে বর্ণিত, (সা.) আমাদের উদ্দেশ্যে দেয়া এক খুতবায় এরশাদ করেছেনঃ … “আলা লা তাউম্মান্না ইমরাআতুন রাজুলান” খবরদার কোন মহিলা যেন পুরুষের ইমাম না হয়৷ –ইবনে মাজাহঃকিতাব ইক্বামাতিস সালাহঃবাব ফী ফারদ্বিল জুমুআহ; তাছাড়া নবী (সা.) বলেন: ‘‘ঐ সম্প্রদায় কখনো সফলকাম হতে পারে না, যারা কোন মহিলাকে তাদের বিষয়াদির নেতা নিযুক্ত করে”। –বুখারী, অধ্যায়: মাগাযী, নং ৪৪২৫; যেহেতু ইমামতি এক প্রকারের নেতৃত্ব, তাই তাদের এ পদে নিযুক্ত করা হারাম।
শায়েখ উমায়ের কোব্বাদী