জিজ্ঞাসা–১৫৩৩: আসসালামু আলাইকুম। হজরত, আমি যখন আমার স্ত্রীর সাথে ফোনে কথা বলি তখন পেশাবের রাস্তায় পাতলা তরল পানি নির্গত হয়। সমস্যা হচ্ছে নামাজের পূর্বে পরিস্কার করে অযু করে যখন নামাজে দাঁড়াই, তখন মনে হতে থাকে কিছু একটা বের হচ্ছে। তখন খুব অস্বস্তি অনুভূত হয়। এমতাবস্থায় নামাজ কি আমার হবে নাকি নামাজ ছেড়ে দেব? জানালে উপকৃত হব। হজরতের সুস্বাস্থ্য কামনা করছি।–নাম প্রকাশ না করলে খুশি হব।
জবাব: وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته
প্রিয় প্রশ্নকারী ভাই, পাক-নাপাকের ব্যাপারে মূলনীতি হল, যতক্ষণ পর্যন্ত নিশ্চিতভাবে নাপাক হওয়ার বিষয়টি জানা না যাবে, ততক্ষণ পর্যন্ত শুধু সন্দেহের বশবর্তী হয়ে কোনো জিনিসকে নাপাক বলা যায় না। (হিন্দিয়া: ১/৪৫)
সুতরাং আপনার করণীয় হল–
আপনি নিশ্চয়তার উপর নির্ভর করবেন। যতক্ষণ পর্যন্ত আপনি কিছু বের হওয়ার ব্যপারে নিশ্চিত হবেন না ততক্ষণ পর্যন্ত কেবল সন্দেহের বশে কিছু বের হয়েছে বলা যাবে না। আর যদি নিশ্চিত হন, তাহলে নামায ছেড়ে যতটুকুতে লেগেছে, ততটুকু ধুয়ে নিয়ে পুনরায় অজু করে নামায আদায় করবেন।
হাদীস শরিফে এসেছে, রাসূলুল্লাহ ﷺ-কে প্রশ্ন করা হয়েছিল, হে আল্লাহর রাসূল, যদি কোন ব্যক্তি সন্দেহ করে যে, তার নামাযে কিছু বের হয়েছে। উত্তরে তিনি বলেন,
لَا يَنْصَرِفْ حَتَّى يَسْمَعَ صَوْتًا أَوْ يَجِدَ رِيحًا
নামায ছেড়ে দিবে না, যতক্ষণ না সে আওয়াজ শোনে, অথবা গন্ধ পায়। (বুখারী ১৩৭)
এ হাদিস থেকে আমাদের বক্তব্যের পক্ষে প্রমাণ পেশ করার প্রক্রিয়া হচ্ছে–এখানে রাসূলুল্লাহ ﷺ নিশ্চয়তার উপর নির্ভর করার নির্দেশ দিয়েছেন এবং সন্দেহের প্রতি ভ্রুক্ষেপ করে নামায ত্যাগ করা থেকে নিষেধ করেছেন। অনুরূপভাবে পবিত্রতার ক্ষেত্রেও অযু করার পর কোনো কিছু অনুভূত হলে, সে দিকে ভ্রুক্ষেপ করবেন না। বরং ততক্ষণ পর্যন্ত নিজেকে পবিত্রই মনে করবেন, যতক্ষণ পর্যন্ত স্বচোখে কোনো কিছু দেখবেন না। কারণ, কিছু বের না হওয়াটাই মূল।
শায়েখ উমায়ের কোব্বাদী