জিজ্ঞাসা–১৫৮২: সুদি ব্যাংক থেকে লোন নেয়া যাবে কিনা?–A.Muntakim
জবাব: ব্যাংক এমন এক বাণিজিক-প্রতিষ্ঠানের নাম; যে জনসাধারণের অর্থ নিজের কাছে জমা ও সঞ্চয় করে ব্যবসায়ী, শিল্পপতি এবং অন্যান্য অভাবী ব্যক্তিদেরকে প্রয়োজনে ঋণ সরবরাহ করে থাকে। বর্তমানে গতানুগতিক ব্যাংকগুলো ঐ ঋণের উপর সূদ আদায় করে।
সুতরাং অপেক্ষা রাখে না যে, সুদি ব্যাংক থেকে লোন নেয়া হারাম। ঈমানের পূর্ণতার জন্য অপরিহার্য শর্ত হল, সুদ ও যাবতীয় হারাম পন্থা পরিহার করে বৈধ উপায় গ্রহণ করা। কেননা, আল্লাহ তাআলা বলেছেন,
یٰۤاَیُّهَا الَّذِیْنَ اٰمَنُوا اتَّقُوا اللهَ وَ ذَرُوْا مَا بَقِیَ مِنَ الرِّبٰۤوا اِنْ كُنْتُمْ مُّؤْمِنِیْنَ فَاِنْ لَّمْ تَفْعَلُوْا فَاْذَنُوْا بِحَرْبٍ مِّنَ اللهِ وَ رَسُوْلِهٖ.
হে ঈমানদারগণ! তোমরা আল্লাহকে ভয় করো এবং সুদের যা কিছু অবশিষ্ট আছে তা পরিত্যাগ করো। যদি তোমরা মুমিন হও। যদি তা না কর তবে আল্লাহ ও তাঁর রাসূলের পক্ষ থেকে যুদ্ধের সংবাদ জেনে নাও। (সূরা বাকারা ২৭৮-২৭৯)
হাদীস শরীফে এসেছে, জাবের রাযি. বলেন,
لَعَنَ رَسُولُ اللهِ ﷺ آكِلَ الرِّبَا، وَمُؤْكِلَهُ، وَكَاتِبَهُ، وَشَاهِدَيْهِ، وَقَالَ: هُمْ سَوَاءٌ
রাসূলুল্লাহ ﷺ সুদ ভক্ষণকারী, সুদ প্রদানকারী, সুদের লেখক এবং সাক্ষীগণকে অভিসম্পাত করেছেন এবং বলেছেন, (গুনাহের ক্ষেত্রে) তারা সবাই বরাবর। (মুসলিম ১৫৯৮)
অপর হাদীসে এসেছে, রাসূলুল্লাহ ﷺ বলেছেন,
الرِّبا وإنْ كثُرَ، فإنَّ عاقِبتَه تَصيرُ إلى قُلٍّ
সূদের (উন্নতির) পরিমাণ যত বেশীই হোক না কেন; পরিণামে তা কম হতে বাধ্য। (আহমাদ ৩৭৫৪ ইবনে মাজাহ ২২৭৯)