জিজ্ঞাসা–১১২৫: আসসালামু আলাইকুম প্রিয় শায়েখ, হুন্ডির বিজনেস কি হালাল? বিদেশ থেকে যদি কোনো আত্নীয় হুন্ডির মাধ্যমে টাকা পাঠায়, তাহলে সেই টাকা গ্রহণে কি কোনো শরীয়তের দৃষ্টিতে কোনো বিধিনিষেধ আছে?: anonymou
জবাব: وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته
শরয়ী দৃষ্টিকোণ থেকে হুন্ডি ব্যবসা নাজায়েয নয়। সুতরাং হুন্ডির মাধ্যমে পাঠানো টাকা গ্রহণ করাও নাজায়েয হবে না। কেননা, মূলত এটি হচ্ছে, মুদ্রা বিনিময় তথা এক দেশের মুদ্রাকে অন্য দেশের মুদ্রার বিনিময় ক্রয়-বিক্রয়। যা শরিয়তের দৃষ্টিতে জায়েয। (ফাতাওয়ায়ে শামী: ৫/১৩১, ফাতহুল মুলহিম ১/৫৯০ ফাতাওয়ায়ে কাসিমিয়া ২০/২৬৬)
তবে এক্ষেত্রে মজলিসেই কমপক্ষে একপক্ষ কারেন্সি হস্তগত করে নিতে হবে। যদি একজনও তাদের বিনিময়কৃত কারেন্সি হস্তগত না করে তাহলে ক্রয় বিক্রয়টি জায়েয হবে না। কেননা, রাসূলুল্লাহ ﷺ বলেছেন,
فَإِذَا اخْتَلَفَتْ هَذِهِ الأَصْنَافُ فَبِيعُوا كَيْفَ شِئْتُمْ إِذَا كَانَ يَدًا بِيَدٍ
…এ দ্রব্যগুলো যদি একটি অপরটির ব্যতিক্রম হয় (অর্থাৎ- পণ্য এক জাতীয় না হয়) তোমরা যেরূপ ইচ্ছা বিক্রি করতে পার যদি হাতে হাতে (নগদে) হয়। (মুসলিম ১৫৮৭)
কিন্তু যেহেতু সরকার রেমিটেন্স থেকে বঞ্চিত হয় বিধায় এটিকে রাষ্ট্রীয়ভাবে বেআইনি ঘোষণা করেছে, আর শরীয়তের সাথে সাংঘর্ষিক নয় এমন কোনো বিষয়কে সরকার নিষেধ করলে তা নাগরিকদের মেনে চলা উচিত। তাই মান-সম্মান রক্ষার্থে এ ধরণের ব্যবসা থেকে বিরত থাকতে হবে। (https://darulifta-deoband.com/home/ur/other-transactions/21126) কেননা, রাসূলুল্লাহ ﷺ বলেছেন,
لاَ يَنْبَغِي لِلْمُؤْمِنِ أَنْ يُذِلَّ نَفْسَهُ . قَالُوا: وَكَيْفَ يُذِلُّ نَفْسَهُ . قَالَ: يَتَعَرَّضُ مِنَ الْبَلاَءِ لِمَا لاَ يُطِيقُ
কোনো মুমিন ব্যক্তির জন্য নিজেকে অপমানিত করাটা শোভনীয় নয়। সাহাবীগণ প্রশ্ন করেন, সে নিজেকে কিভাবে অপমানিত করে? তিনি বললেন, এমন কঠিন বিষয়ে লিপ্ত হওয়া যার সামর্থ্য তার নেই। (তিরমিযী ২২৫৪)
শায়েখ উমায়ের কোব্বাদী