জিজ্ঞাসা–১১৭৭: আসসালামু আলাইকুম। মেয়েদের মাসিক চলা অবস্থায় অনেক সময় ফোন চাপাচাপি করতে গেলে বা কোন হাদিস,মাসাআলা পড়তে গেলে অনেক সময় দেখা যায় সামনে কোরআনে আয়াত চলে আসছে। আর অজান্তে আমার হাত সেখানে স্পর্শ করে ফেলছে, এতে কি আমি গুনাহগার হব? তাহলে কি মাসিকের সময় হাদিস, ইসলামিক বিভিন্ন প্রশ্ন উত্তর মাসায়ালা এগুলো পড়া সর্বোপরি ফোন টাচ করা থেকে বিরত থাকব? যদি কখনো বেখেয়ালে অপবিত্র অবস্থায় কোরআন শরীফ স্পর্শ করে ফেলি, পড়ার নিয়তে না, হয়ত ঘর গোছাচ্ছি তখন হয়ত আমি নাপাক আছি কিন্তু সেটা ভুলে গিয়ে কোরআনের উপর হাত লেগে গেলো, এতে আমি কতবড় গুনাগার হব? এতে কি আমার ঈমান চলে যাবার সম্ভাবনা আছে? বিষয়গুলো নিয়ে খুব টেনশনে আছি।–আয়েশা আলম।
জবাব: وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته
ইসলামী শরিয়তে কোরআন মজিদ স্পর্শ করার জন্য ও তা পাঠ করার জন্য দৈহিক পবিত্রতার শর্তারোপ করা হয়েছে।
বিস্তারিত জানার জন্য পড়ুন জিজ্ঞাসা নং–২৮৯
আর অযু ছাড়া মোবাইলে কোরআন পড়া যাবে কিনা; মাসআলাটির ব্যাপারে সমকালীন মুফতিদের মাঝে দ্বিমত আছে। কেউ বলেন, স্ক্রিনে থাকা অবস্থায় মোবাইল বিনা অযুতে ধরা যাবে। কেউ বলেন, যাবে না।
সুতরাং আপনার জন্য করণীয় হল, শরীর যখন অপবিত্র থাকে তখন মোবাইলের স্ক্রিনে কিংবা সরাসরি কোরআন মজিদের আয়াত স্পর্শ করা কিংবা তেলাওয়াত করা থেকে বিরত থাকার প্রতি পরিপূর্ণ সতর্ক থাকা। এরপরেও যদি বেখেয়ালে স্পর্শ হয়ে যায়, তাহলে এক্ষেত্রে গুনাহ হবে না; বরং শুধু ইস্তেগফার করে নিলেই হবে। এর দলিল হল, আল্লাহ তাআলা বান্দার যবানে বলেন,
رَبَّنَا لاَ تُؤَاخِذْنَا إِن نَّسِينَا أَوْ أَخْطَأْنَا
‘হে আমাদের পালনকর্তা, যদি আমরা ভুলে যাই কিংবা ভুল করি, তবে আমাদেরকে অপরাধী করো না।’ (সূরা বাকারা ২৮৬)
আবু হুরায়ারা রাযি. থেকে বর্ণিত হাদিসে এসেছে, আল্লাহ তাআলা এর জবাবে বলেন, نعم ‘হ্যাঁ’। (মুসলিম ১২৫)
ইবন আব্বাস রাযি. থেকে বর্ণিত হাদিসে এসেছে, আল্লাহ তাআলা এর জবাবে বলেন, قد فعلت ‘আমি কবুল করেছি’। (মুসলিম ১২৬)
আর শরিয়ত আমাদেরকে এই শিক্ষাই দেয় যে, ভুল হয়ে গেলে ইস্তেগফার করবে। সেই সাথে সতর্ক থাকতে হবে যেন এমনটি পুণরায় আর না ঘটে।
শায়েখ উমায়ের কোব্বাদী