জিজ্ঞাসা–১২৩৬: আসাসলামু আলাইকুম। আমার স্ত্রীর মহরানার টাকা এখনো দেই নাই। বিয়ের বয়স ১১ বছর। ভাবছি একটু ঠিক হয়ে আরো দু্ তিন বছর বছর পরে দিবো। আমার এই প্ল্যান ঠিক আছে কিনা? জানালে উপকৃত হবো।–মামুন হোসেন।
জবাব: وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته
এক. প্রিয় প্রশ্নকারী ভাই, মোহর আদায় করা আবশ্যক। না করলে গুনাহগার হবেন। কেননা স্বয়ং আল্লাহ তাআলা মোহর আদায়ের আদেশ করেছেন। সুতরাং আপনার কর্তব্য যথাযথভাবে এবং যত দ্রুত সম্ভব মোহর পরিশোধ করা। আল্লাহ তাআলা বলেন,
فَمَا اسْتَمْتَعْتُم بِهِ مِنْهُنَّ فَآتُوهُنَّ أُجُورَهُنَّ فَرِيضَةً
অতএব তাদের নিকট থেকে তোমরা যে আনন্দ উপভোগ করেছ (সে কারণে) তাদের ধার্যকৃত মোহর তাদেরকে প্রদান করবে। (সূরা নিসা ২৪)
অন্যত্র তিনি বলেন,
وَآتُوا النِّسَاءَ صَدُقَاتِهِنَّ نِحْلَةً
এবং তোমরা নারীদেরকে দাও তাদের মোহর খুশিমনে। (সূরা নিসা ৪)
দুই. যদি কোনো কারণে বর্তমানে পরিশোধ করার ইচ্ছা আপনার না থাকে; বরং পরবর্তীতে পরিশোধের ইচ্ছা আপনার থাকে তাহলে স্ত্রীর কাছ থেকে সময় নিতে পারেন। তবে এক্ষেত্রে তা পরিশোধের তারিখ নির্ধারণ করে নিবেন।
মনে রাখবেন, মোহর প্রদানের বিষয়টি নিছক কথার কথা বা ঐচ্ছিক কোনো আচার পালনের বিষয় নয়; বরং তা একটি ফরয বিধান ও গুরুত্বপূর্ণ দ্বীনী দায়িত্ব, যা পূর্ণ মনোযোগ ও বিচার-বিবেচনার দাবি রাখে। এটি একটি স্বয়ংসম্পূর্ণ লেনদেন। অতএব এর যাবতীয় দিক শরীয়ত অনুযায়ী ও পরিষ্কারভাবে হওয়া উচিত এবং সে হিসেবেই তা পরিশোধের চিন্তা-ভাবনা করা উচিত। এটি বড়ই অন্যায় কথা যে, সারা জীবন উদাসীন থেকে মৃত্যুশয্যায় স্ত্রীর নিকট মাফ চাওয়া হয়, যখন পরিস্থিতির চাপে স্ত্রীরও মাফ করে দেওয়া ছাড়া আর কোনো উপায় থাকে না।
শায়েখ উমায়ের কোব্বাদী