জিজ্ঞাসা–১২৩২: আসসালামু আলাইকুম। হুজুর, আমি জানতে চাচ্ছি, তন্ত্র কি হারাম? আর কাজ হয় কিভাবে? আশা করি উত্তর দিবেন। ইন্টারনেট থেকে সংগ্রহ: অদৃশ্য হওয়ার জন্য রবিবার দিন প্যাচার কিছু পালক পুড়িয়ে ভষ্ম তৈরি করিবে। সেই ভষ্মের সাথে কুঙ্কুম ও কস্তুরি মিশিয়ে গুটিকা তৈরি করে সেই গুটিকা দ্বারা চোখে কাজল দিলে অদৃশ্য হয়।–মুহাম্মাদ আলী।
জবাব: وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته
তন্ত্রের অনুসরণ করা নিঃসন্দেহে হারাম। ক্ষেত্রবিশেষে তা কুফরীর অন্তর্ভুক্ত। হিন্দু, বৌদ্ধ, মগ, চাকমা, টিপরা, কামরুকামাক্ষা এসব অমুসলিমদের থেকে তন্ত্র গ্রহণ করা মানেই কুফরী কিংবা শিরকে জড়িয়ে পড়া। তন্ত্রের ওপর আস্থা রাখা, নিজেকে জড়িয়ে ফেলা এবং এর চর্চা করার পরিণতি অত্যন্ত ভয়ংকর। ইহজগত এবং পরজগতে তাদের কঠোর শাস্তি ভোগ করতে হবে। তন্ত্রগুরু এবং যে তার দ্বারস্থ হয় তার কোনো ইবাদত এবং দোয়া কবুল হবে না। সাময়িক সাফল্য এলেও একসময় তাদের চরম ব্যর্থতা বরণ করে নিতে হবে। জান্নাত তাদের জন্যে হারাম হয়ে যায়। যারা এই কার্যক্রমের সঙ্গে জড়িত, মূলত তারা শয়তান ও অনিষ্টকারী জ্বীনকে সন্তুষ্ট করে কার্যসিদ্ধি করার চেষ্টা চালায়। যারা এই কাজকে পেশা হিসেবে নিয়েছে এবং যারা এই ঘৃণিত কাজের ওপর নির্ভর করে চলে, আস্থা রাখে তারা সকলেই গুনাহগার।
ইমরান ইবনু হুসাইন রাযি. থেকে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ ﷺ বলেছেন,
لَيْسَ مِنَّا مَنْ تَطَيَّرَ أَوْ تُطُيِّرَ لَهُ ، أَوْ تَكَهَّنَ أَوْ تُكُهِّنَ لَهُ ، أَوْ سَحَرَ أَوْ سُحِرَ لَهُ ، وَمَنْ أَتَى كَاهِنًا ، فَصَدَّقَهُ بِمَا يَقُولُ ، فَقَدْ كَفَرَ بِمَا أُنْزِلَ عَلَى مُحَمَّدٍ ﷺ
যে ব্যক্তি পাখি উড়িয়ে ভাগ্যের ভাল-মন্দ যাচাই করলো, অথবা যার ভাগ্যের ভাল-মন্দ যাচাই করার জন্য পাখি উড়ানো হল, অথবা যে ব্যক্তি ভাগ্য গণনা করলো, অথবা যার ভাগ্য গণনা করা হলো, অথবা যে ব্যক্তি যাদু করলো অথবা যার জন্য যাদু করা হলো অথবা যে ব্যক্তি কোন তন্ত্রগুরুর কাছে আসলো অতঃপর সে যা বললো তা বিশ্বাস করলো সে ব্যক্তি মূলতঃ মুহাম্মদ ﷺ এর ওপর যা নাযিল করা হয়েছে তা অস্বীকার করল। (মাজমাউয যাওয়াইদ ৫/১২০)
শায়েখ উমায়ের কোব্বাদী