জিজ্ঞাসা–১২২৮: আসসালামু আলাইকুম, ভাই আমার প্রশ্ন হচ্ছে যে, কেউ যদি কোরবানি ঈদের পরে রোজা রাখে তাহলে কি জায়েজ হবে? আর যদি না হয় তাহলে কি করণীয়?–মাহিন।
জবাব: وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته
দুই ঈদের দিন রোজা রাখা হারাম। দলিল হচ্ছে আবু সাঈদ খুদরি রাযি.-এর হাদিস; তিনি বলেন,
نَهَى النَّبِيُّ ﷺ عَنْ صَوْمِ يَوْمِ الْفِطْرِ وَالنَّحْرِ
নবী ﷺ ঈদুল ফিতর ও ঈদুল আযহার দিন রোজা রাখতে নিষেধ করেছেন। (সহিহ বুখারী ১৯৯২ সহিহ মুসলিম ৮২৭)
অনুরূপভাবে তাশরিকের দিনগুলোতে রোজা রাখাও হারাম। তাশরিকের দিনগুলো হচ্ছে, ঈদুল আযহার পরের তিনদিন (১১, ১২ ও ১৩ই জিলহজ)। কেননা, রাসুলুল্লাহ ﷺ বলেছেন,
أَيَّامُ التَّشْرِيقِ أَيَّامُ أَكْلٍ وَشُرْبٍ وَذِكْرٍ لِلَّهِ
তাশরিকের দিনগুলো হচ্ছে, পানাহার ও আল্লাহকে স্মরণ করার দিন। (সহিহ মুসলিম ১১৪১)
সুতরাং কোনো ব্যক্তি যদি ‘আইয়ামে বীয’ তথা চান্দ্র মাসের ১৩, ১৪, ১৫ তারিখের রোজা রাখতে চায় তাহলে তিনি জিলহজের মাসের ক্ষেত্রে ১৩, ১৪, ১৫ তারিখের পরিবর্তে ১৪, ১৫, ১৬ তারিখে রোজা রাখবেন। আশা করা যায়, আল্লাহ তাআলা এর মাধ্যমে তাকে আইয়ামে বীযে রোজা রাখার ফজিলত দান করবেন। হাদিসে এসেছে, রাসূলুল্লাহ ﷺ বলেছেন,
صِيَامُ ثَلاثَةِ أَيَّامٍ مِنْ كُلِّ شَهْرٍ صِيَامُ الدَّهْرِ وَأَيَّامُ الْبِيضِ صَبِيحَةَ ثَلاثَ عَشْرَةَ وَأَرْبَعَ عَشْرَةَ وَخَمْسَ عَشْرَةَ
প্ৰত্যেক মাসের তিন দিন রোজা পালন করা সারা জীবন রোজা পালন করার সমতুল্য। আর আইয়ামে বীয—তের তারিখের সকাল থেকে চৌদ্দ এবং পনের তারিখ পর্যন্ত । (নাসাঈ ২৪২২)
শায়েখ উমায়ের কোব্বাদী