জিজ্ঞাসা–২০৫:আমার স্ত্রী দু’টি সিজার-এ সন্তান হয়েছে। এখন তার ডায়বেটিসও আছে। এমতাবস্থায় আরো সন্তান নিতে গেলে তার জীবনের ঝুঁকিপূর্ন। এখন আমরা চাচ্ছি তিনটি সন্তান এর পর তার বাচ্চাদানি কেটে ফেলতে। এটা শরিয়তে কী বলে? উওর দিলে উপকৃত হব।–মোহাম্মদ ইলিয়াছ।
জবাব: জন্মনিয়ন্ত্রণের স্থায়ী ব্যবস্থার কোনো পদ্ধতিই নারী-পুরুষ কারো ক্ষেত্রে শরীয়তের দৃষ্টিতে বৈধ নয়; বরং সুষ্পষ্ট হারাম। কেননা এতে আল্লাহর সৃষ্টির পরিবর্তন করা আবশ্যক হয়ে পড়ে। হাদিস শরিফে এসেছে, ইব্নু মাস’ঊদ রাযি. থেকে বর্ণিত,তিনি বলেন,
كُنَّا نَغْزُوْ مَعَ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم لَيْسَ لَنَا نِسَاءٌ فَقُلْنَا يَا رَسُوْلَ اللهِ أَلاَ نَسْتَخْصِي فَنَهَانَا عَنْ ذَلِكَ. আমরা রাসূলুল্লাহ ﷺ-এর সঙ্গে জিহাদে অংশগ্রহণ করতাম। আমাদের সঙ্গে আমাদের বিবিগণ থাকত না। তাই আমরা বললাম, হে আল্লাহ্র রসূল! আমরা কি খাসি হয়ে যাব? তিনি আমাদেরকে তা করতে নিষেধ করলেন।(সহীহ বুখারী, হাদীস ৫০৭৫)
তবে এক্ষেত্রেও কখনও কোনো কোন অভিজ্ঞ দীনদার ডাক্তারের বক্তব্যমতে গর্ভধারণের কারণে মায়ের প্রাণনাশের আশঙ্কা হলে ওই মায়ের জন্য স্থায়ী পদ্ধতি গ্রহণ করা বৈধ হবে। (জাদীদ ফিকহী মাবাহেস ১/২৮২)
সুতরাং আপনি অভিজ্ঞ দীনদার ডাক্তারের পরামর্শ নিন। বাস্তবেই যদি তিনি গর্ভধারণ মায়ের জীবনের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ মনে করেন তাহলে প্রশ্নেল্লেখিত পদ্ধতি গ্রহণ করা জায়েয হবে।
শায়েখ উমায়ের কোব্বাদী