জিজ্ঞাসা–১৩০৭: শুধু রাসূলের সংখ্যা কত?–Mahathir Prince
জবাব:
এক. এ বিষয়ে ফাতাওয়া লাজনাতিদ্দায়িমা (২৬/২২৪)-তে এসেছে,
لا يعلم عددهم إلا الله ؛ لقوله تعالى : ( وَلَقَدْ أَرْسَلْنَا رُسُلًا مِنْ قَبْلِكَ مِنْهُمْ مَنْ قَصَصْنَا عَلَيْكَ وَمِنْهُمْ مَنْ لَمْ نَقْصُصْ عَلَيْكَ ) غافر/78 ، والمعروف منهم من ذكروا في القرآن أو صحت بخبره السنَّة
‘তাঁদের সংখ্যা আল্লাহ ছাড়া কেউ জানেন না। কেননা, তিনি বলেছেন, ‘আমি আপনার পূর্বে অনেক রাসূল প্রেরণ করেছি, তাঁদের কারও কারও ঘটনা আপনার কাছে বিবৃত করেছি এবং কারও কারও ঘটনা আপনার কাছে বিবৃত করি নি-সূরা গাফির৭৮।’ তাঁদের মধ্যে প্রসিদ্ধ তাঁরা যাঁদের উল্লেখ কোরআনে অথবা বিশুদ্ধ সূত্রে সুন্নাহয় এসেছে।’
দুই. হ্যাঁ, নবী ও রাসূলের সংখ্যার পরিমাণ সম্পর্কিত হাদিসও আছে। যেমন, এক হাদিসে এসেছে,
عن أبي ذر قال : قلت : يا رسول الله ، كم الأنبياء ؟ قال : مائة ألف وأربعة وعشرون ألفًاً ، قلت : يا رسول الله ، كم الرسل منهم ؟ قال : ثلاثمائة وثلاثة عشر جَمّ غَفِير، قلت : يا رسول الله ، من كان أولهم ؟ قال : آدم
আবু যর রাযি. থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি বললাম, ইয়া রাসুলাল্লাহ! নবীদের সংখ্যা কত? তিনি উত্তর দিলেন, এক লাখ চব্বিশ হাজার। আমি বললাম, ইয়া রাসুলাল্লাহ! তাঁদের মধ্যে কতজন রাসূল? উত্তর দিলেন, তিন শত তের জনের একটি বড় দল। আমি বললাম, তাঁদের মধ্যে প্রথম কে? বললেন, আদম। (ইবন হিব্বান ৩৬১)
উক্ত হাদিস সম্পর্কে শায়খ শুয়াইব আল আরনাউত রহ. বলেন, إسناده ضعيف جدّاً ‘হাদিসটির সনদ নিতান্ত দুর্বল।’ (তাহকীকু সহীহ ইবন হিব্বান ২/৭৯)
মোটকথা, যেসব বর্ণনায় সংখ্যার উল্লেখ পাওয়া যায়, সবগুলোই দুর্বল এবং পরস্পর সাংঘর্ষিক। আর এটা তো জানা কথা যে, দুর্বল হাদিস দ্বারা আকিদার বিষয় প্রমাণিত হয় না। সুতরাং আমরা কোনো প্রকার সংখ্যা নির্ধারণ না করে বলবো, আল্লাহ যত নবী ও রাসূল পাঠিয়েছেন সকলের উপর আমরা ঈমান এনেছি। ফেরেশতাদের সংখ্যা আমরা জানি না। তবুও আমরা ঈমান এনেছি। অনুরূপভাবে নবী-রাসূলের সংখ্যাও আমরা জানি না। এসবের সংখ্যা আল্লাহই ভালো জানেন। তবে তাঁদের প্রত্যেকের উপর আমরা ঈমান এনেছি। যেমন, আল্লাহ তাআলা বলেন,
وَالْمُؤْمِنُونَ كُلٌّ آمَنَ بِاللّهِ وَمَلآئِكَتِهِ وَكُتُبِهِ وَرُسُلِهِ لاَ نُفَرِّقُ بَيْنَ أَحَدٍ مِّن رُّسُلِهِ
এবং মুসলমানরাও সবাই বিশ্বাস রাখে আল্লাহর প্রতি, তাঁর ফেরেশতাদের প্রতি, তাঁর গ্রন্থসমুহের প্রতি এবং তাঁর পয়গম্বরগণের প্রতি। তারা বলে আমরা তাঁর পয়গম্বরদের মধ্যে কোন তারতম্য করিনা। (সূরা বাকারা ২৮৫)
শায়েখ উমায়ের কোব্বাদী