জিজ্ঞাসা–১৪৩৮: আসসালামুয়ালাইকুম, সম্মানিত শায়েখ, আমার খুবই জরুরী একটি প্রশ্ন–মেয়েদের মাসিক সেরে গেলে অপবিত্র অবস্থায় সেহরি খেলে পরে পবিত্র হলে এমতাবস্থায় রোযা হবে কি ? অর্থাৎ মাসিক সেরে গেছে রাত্রে কিন্তু গোসল করে নি, গোসল না করেই সেহরি খেয়ে রোযা রেখেছে এবং পরে গোসল করলে রোযা হবে কিনা? মেহেরবানি করে উত্তর দানে মর্জি হয়, ইনশাআল্লাহ।–মোঃ মাহফুজ বিশ্বাস।
জবাব: وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته
যার ওপর গোসল ফরজ তিনি গোসল না করে সেহরি খেতে কোনো নিষেধ নেই। কেননা, হাদিসে এসেছে, উম্মুল মুমিনীন উম্মে সালামা রাযি. বর্ণনা করেন,
أنَّ رَسولَ اللَّهِ ﷺ كانَ يُدْرِكُهُ الفَجْرُ وهو جُنُبٌ مِن أهْلِهِ، ثُمَّ يَغْتَسِلُ، ويَصُومُ
সহবাসের ফলে না-পাকি অবস্থায় রাসূল ﷺ সুবহে সাদিক অতিক্রম করতেন, অত:পর গোসল করে রোজা রাখতেন। (বুখারি ১৯২৫)
তবে মনে রাখতে হবে, বিনা ওজরে অপবিত্র অবস্থায় এক ওয়াক্ত নামাজের সময় অতিবাহিত হয়ে যাওয়া মারাত্মক গোনাহ। (বাদায়ে ১/১৫১)
عَنْ نَوْفَلِ بْنِ مُعَاوِيَةَ، أَنَّ النَّبِيَّ ﷺ قَالَ: مَنْ فَاتَتْهُ الصَّلَاةُ فَكَأَنَّمَا وُتِرَ أَهْلَهُ وَمَالَهُ
নওফেল বিন মুআবিয়া রাযি. থেকে বর্ণিত, রাসূল ﷺ বলেছেন, যার নামায ফউত হয়ে গেল, যেন তার পরিবার ও সম্পদ সবই ধ্বংস হয়ে গেল। (মুসনাদে আহমাদ ২৩৬৪২)
সুতরাং উক্ত মহিলা ফজর নামাজের আগেই গোসল করে নিবেন এবং নামাজ আদায় করবেন।
শায়েখ উমায়ের কোব্বাদী