জিজ্ঞাসা–১৫১৬: হুজুর, আমি বাড়ি তৈরি করার সময় বাবা মার কথা শুনে মানুষের ক্ষতি বা যাদু টোনা থেকে বাঁচার জন্য বাড়ির ঢালাই এর নিচে কিছু চুল, বড়শি, সোনা, পাঁচ টাকার কয়েন দিয়েছি, এখন এই কাজ করা কি শিরিক হয়েছে? যদি শিরিক হয় তাহলে তওবা করলে কি মাফ হবে? বিভিন্ন উলামায়ে কেরাম বলেন, শরিক এর গুনাহ মাফ হয়না, হুজুর আমার করণীয় কী? আর বাড়ি কি ভেঙে ফেলতে হবে?–আতিকুর।
জবাব: প্রিয় দীনী ভাই, আপনার উক্ত কাজ শিরক হয়েছে, তবে এটি শিরকে আকবর তথা বড় শিরক নয় যে, এর কারণে আপনি মুশরিক হয়ে গিয়েছেন। বরং এটি ছিল শিরকে আসগার তথা ছোট শিরক, যা কোনো ব্যক্তি করলে তাকে ফাসিক বলা হয়। আর শিরকে আসগারের ব্যাপারে ওলামায়ে কেরাম দু’টি মত পেশ করেছেন। কেউ বলেন, শিরকে আসগার আল্লাহ তাআলার ইচ্ছাধীন; তিনি চাইলে নিজ দয়ায় এমনিতে এটি মাফ করে দিতে পারেন, আর চাইলে শাস্তিও দিতে পারেন। আর কেউ বলেন, শিরকে আসগার করে তাওবা না করে কেউ মারা গেলে, অবশ্যই সে শাস্তি পাবে তবে সে চিরকালের জন্য জাহান্নামে যাবে না। (তাইসীরুল আযীযিল হামীদ শরহু কিতাবিত তাওহীদ ৯৮)
অতএব, আপনার উক্ত কর্মের জন্য বাড়ী ভাঙ্গার প্রয়োজন নেই। বরং আপনার কর্তব্য হচ্ছে– আল্লাহ্ অভিমুখী হওয়া। কৃত কর্মের জন্য অনুতপ্ত হয়ে তাওবা করা এবং পুনরায় এজাতীয় কর্মে লিপ্ত না হওয়ার দৃঢ় সিদ্ধান্ত নেয়া। কেননা, আল্লাহ তাআলা বলেছেন,
ثُمَّ إِنَّ رَبَّكَ لِلَّذِينَ عَمِلُوا السُّوءَ بِجَهَالَةٍ ثُمَّ تَابُوا مِنْ بَعْدِ ذَلِكَ وَأَصْلَحُوا إِنَّ رَبَّكَ مِنْ بَعْدِهَا لَغَفُورٌ رَحِيمٌ
অনন্তর যারা অজ্ঞতাবশতঃ মন্দ কাজ করে, অতঃপর তাওবা করে এবং নিজেকে সংশোধন করে নেয়, আপনার পালনকর্তা এসবের পরে তাদের জন্যে অবশ্যই ক্ষমাশীল, দয়ালু। (সুরা নাহল ১১৯)
শায়েখ উমায়ের কোব্বাদী