জিজ্ঞাসা–২৭৪: আমার প্রশ্ন হচ্ছে পোস্টার বা দোকান এর মেমোতে বাংলা ভাষায় বিসমিল্লাহ লিখা থাকে । এ টি যেকোন জায়গাতেই পড়ে থাকে। রাস্তা ঘাট নর্দমা ড্রেন মধ্যে দেখা যায় । এটা কি কোরানের আয়াত নয়? এটা কি কোরানের অবমাননার শামিল নয় কি?–Md Rabiul islam
জবাব: প্রিয় প্রশ্নকারী দীনি ভাই, আসলে এটা খুবই দুঃখজনক যে, আমাদের অজ্ঞতার কারণে বিসমিল্লাহর অপব্যবহার বেড়ে চলছে। এমনকি রাজনৈতিক পোস্টার থেকে শুরু করে শরিয়ত-নিষিদ্ধ পণ্য ও প্রতিষ্ঠানের পোস্টার, বিজ্ঞাপন ও লিফলেটে ‘বিসমিল্লাহ’র ব্যাপক ব্যবহার লক্ষ্য করা যাচ্ছে।
অথচ বিসমিল্লাহ পবিত্র কোরআনের আয়াত বা অংশবিশেষ হওয়ার ব্যাপারে কারোই দ্বিমত নেই। পবিত্র কোরআন শুরুই করা হয়েছে বিসমিল্লাহর মাধ্যমে। কোরআনের একটি সুরা ছাড়া সব সুরার শুরুতে বিসমিল্লাহ রয়েছে। বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম- এ বাক্যটি সর্বপ্রথম ব্যবহার করেছেন হযরত সুলায়মান আ.। সাবা নগরীর রাণী বিলকিসের কাছে লেখা চিঠিতে তিনি এ বাক্যটি ব্যবহার করেছেন। পবিত্র কোরআনের সুরা নামলের ২৯-৩০ নম্বর আয়াতে সে চিঠির বিবরণ উল্লেখ রয়েছে।
সুতরাং এর মর্যাদা ও সম্মানের প্রতি খেয়াল রাখা জরুরি। এর হুকুম কোরআন মজীদের অন্যান্য আয়াতের মতোই। তাই অযু ছাড়া তা স্পর্শ করা যাবে না। বিসমিল্লাহ লিখিত কাগজ কোনো অসম্মানের স্থানে ব্যবহার করাও জায়েয নয়। সুতরাং প্রশ্নোল্লেখিত পোস্টার ও দোকানের মেমোতে–যা নির্ধারিত সময়ের পর কোনো প্রয়োজন না থাকার দরুণ পথে-ঘাটে ও নর্দমায় পড়ে থাকার আশঙ্কা থাকে; এমনকি অনেক সময় পদপিষ্ট হয়। এসব ক্ষেত্রে বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহীম লেখা থেকে বিরত থাকা উচিত। চাই তা আরবীতে লেখা হোক বা বাংলা উচ্চারণে।
একটি বর্ণনায় এসেছে, হযরত ওমর ইবনে আবদুল আযীয রহ. দেয়ালে বিসমিল্লাহ লেখার কারণে স্বীয় পুত্রকে প্রহার করেছেন। অনুরূপ আরেকটি বর্ণনা বিশিষ্ট তাবেয়ী হযরত ইবরাহীম নাখায়ী রহ.সম্পর্কেও উদ্ধৃত হয়েছে। (মুসান্নাফ ইবনে আবী শাইবা ৪৬২৩, ৪৬২২;আলমাবসূত, সারাখসী ১/১৫; ফাতহুল কাদীর ১/২৫৩)
শায়েখ উমায়ের কোব্বাদী