জিজ্ঞাসা–১৫৯৮: শায়েখ, ঢাকা শহরের বিভিন্ন জায়গায় চুরি করা জুতা বিক্রয় হয়। এখন আমার জানার বিষয় হলো সেগুলো ক্রয় করে ব্যবহার করা যাবে কি না?–Abdullah
জবাব: জেনে শুনে চোরাই পণ্য কেনা জায়েয হবে না। এ বিষয়ে আরব বিশ্বের সর্বোচ্চ ফতোয়া কমিটি ‘ফাতাওয়া লাজনাতিদ্দায়িমা’-কে জিজ্ঞাসা করা হয়েছিল, তখন তারা উত্তরে লিখেছেন,
إذا تيقن الإنسان من كون السلعة المعروضة للبيع أنها مسروقة ، أو مغصوبة ، أو أن مَن يعرضها لا يملكها ملكاً شرعيّاً ، وليس وكيلاً في بيعها : فإنه يحرم عليه أن يشتريها ؛ لما في شرائها من التعاون على الإثم والعدوان ، وتفويت السلعة على صاحبها الحقيقي ؛ ولما في ذلك من ظلم الناس ، وإقرار المنكر ، ومشاركة صاحبها في الإثم ، قال الله تعالى : ( وَتَعَاوَنُوا عَلَى الْبِرِّ وَالتَّقْوَى وَلَا تَعَاوَنُوا عَلَى الْإِثْمِ وَالْعُدْوَانِ ) المائدة/2 .
যদি কোন ব্যক্তি নিশ্চিত হন যে বিক্রয়ের জন্য প্রস্তাবিত পণ্যটি চুরি করা হয়েছে বা জোরপূর্বক জব্দ করা হয়েছে, অথবা যিনি এটি বিক্রয়ের জন্য প্রস্তাব করছেন তিনি বৈধ মালিক নন এবং এটি বিক্রি করার জন্য অনুমোদিত নয়, তাহলে তার জন্য ক্রয় করা হারাম। কারণ এটি ক্রয় করা পাপ ও সীমালংঘনে সহযোগিতা করা। আর তা হল মানুষের উপর অন্যায় করা এবং মন্দকে অনুমোদন করা এবং পাপে অংশ নেওয়া। আল্লাহ তাআলা বলেন, তোমরা সৎকর্ম ও আল্লাহভীতিতে একে অন্যের সহযোগিতা করো, গুনাহ ও জুলুমের কাজে একে অন্যের সহায়তা করো না।-সূরা মায়েদা ২। ( ফাতাওয়া লাজনাতিদ্দায়িমা ১৩৮২)
হাদিস শরিফে এসেছে, আবু হুরায়রা রাযি থেকে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ বলেছেন,
مَنِ اشْتَرى سَرِقةً، وهو يَعلمُ أنَّها سَرِقةٌ، فقد شُرِكَ في عارِها وإثمِها
যে ব্যক্তি জেনেশুনে চুরিকৃত বস্তু ক্রয় করল সে-ও চুরির অপরাধে শরিক হয়ে গেল। (মুসতাদারক হাকিম ২২৮৭)