জিজ্ঞাসা–৩০৪: আমরা মহিলারা ইউটিউব বা ফেসবুকের মাধ্যমে হক্কানী ওলামায়ে কেরামের ভিডিও দেখতে পারব কি?–amatus salaam
জবাব: পুরুষের পর্দা হল, পরনারীর প্রতি -আকর্ষণ থাক বা না থাক- একান্ত প্রয়োজন (যেমন,চিকিৎসা ইত্যাদির প্রয়োজন) ছাড়া দৃষ্টিপাত না করা। পক্ষান্তরে নারীদের পর্দার বেলায় ফিকাহবিদগণ বলেন, পরপুরুষের প্রতি কামাসক্তি বা আকর্ষণানুভূতিসহ দৃষ্টিপাত করা সর্বসম্মতভাবে হারাম। তবে আকৃষ্ট হবার আশঙ্কা না থাকলে পরপুরুষের প্রতি দৃষ্টিপাত করা হারাম নয়; বরং দৃষ্টিপাত না করা তাকওয়ার পরিচায়ক। (কিতাবুল ফাতওয়া: ৬/১০১ নিহায়াতুল মুহতাজ: ৬/১৯৪)। প্রমাণ-
আয়েশা রাযি. হতে বর্ণিত, তিনি বলেন,
وَاللّٰهِ لَقَدْ رَأَيْتُ النَّبِىَّ ﷺ يَقُومُ عَلٰى بَابِ حُجْرَتِىْ وَالْحَبَشَةُ يَلْعَبُونَ بِالْحِرَابِ فِى الْمَسْجِدَ وَرَسُوْلُ اللّٰهِ ﷺ يَسْتُرُنِىْ بِرِدَائِه لِأَنْظُرَ إِلٰى لَعِبِهِمْ بَيْنَ أُذُنِه وَعَاتِقِه ثُمَّ يَقُوْمُ مِنْ أَجْلِىْ حَتّٰى أَكُوْنَ أَنَا الَّتِىْ أَنْصَرِفُ
আল্লাহর কসম! আমি নবী ﷺ-কে আমার ঘরের দরজায় দাঁড়িয়ে থাকতে দেখেছি, (ঈদের দিনে) হাবাশী যুবকরা যখন মসজিদের আঙিনায় বর্শা নিয়ে খেলা করছিল, তখন আমি তাঁর ঘাড় ও কানের ফাঁক দিয়ে তাদের খেলা দেখতে পারি সেজন্য রাসূলুল্লাহ ﷺ তাঁর চাদর দিয়ে আমাকে ঢেকে রেখেছিলেন এবং (আমার মুহাববাতে) ততক্ষণ পর্যন্ত দাঁড়িয়ে থাকতেন যতক্ষণ না আমি স্বেচ্ছায় ফিরে আসতাম। (বুখারী: ৫২৩৬, মুসলিম: ৮৯২)
সুতরাং বোঝা গেল, যেহেতু সরাসরি দেখা ও ফটো-ভিডিওতে দেখার হুকুম অভিন্ন, সেহেতু আকৃষ্ট হবার আশঙ্কা না থাকলে নারীরা হক্কানী ওলামায়ে কেরামের ভিডিও দেখতে পারে। পক্ষান্তরে আকৃষ্ট হবার আশঙ্কা থাকলে দেখাটা তাদের জন্য জায়েয হবে না। তবে অবশ্যই না দেখা উত্তম ও তাকওয়ার পরিচায়ক। বরং তাঁদের নসিহত শোনার ইচ্ছা হলে অডিও থেকে শুনবে। এটাই নিরাপদ ও উত্তম পদ্ধতি।
শায়েখ উমায়ের কোব্বাদী
আরো পড়ুন:
আরো পড়ুন: চেহারার কি পর্দা নেই?
আরো পড়ুন: নারী স্বাধীনতার ধোঁকা
আরো পড়ুন: মহিলারা মাহরাম ছাড়া হজে যেতে পারবে কিনা?
আরো পড়ুন: ফেসবুকে পরনারীর সঙ্গে কথা বলা জায়েয আছে কি?
আরো পড়ুন: পরপুরুষের সাথে কথা বলা যাবে কি?
আরো পড়ুন: প্রয়োজন ছাড়া ক্যামেরা দিয়ে ছবি তোলা যাবে কি?
আরো পড়ুন: ফেসবুক ইনস্টাগ্রাম ইত্যাদিতে ছবি পোস্ট করা জায়েয আছে কিনা?