জিজ্ঞাসা–১৬৩৫: সফর অবস্থায় ফরজ ও সুন্নত নামাজ আদায় করবে কিভাবে? বিস্তারিত জানতে চাই।–রাইয়ান।
জবাব: প্রিয় প্রশ্নকারী ভাই, যদি সফর অবস্থায় মুকীমের ইক্তিদা না করে থাকেন তাহলে কসর করা অর্থাৎ চার রাকাতবিশিষ্ট ফরজ নামাজ দুই রাকাত পড়া আবশ্যক। কেননা, আবদুল্লাহ ইবনে আব্বাস রাযি. বলেন,
فَرَضَ اللهُ الصلاةَ على لسانِ نبيِّكم ﷺ في الحَضَرِ أربعًا وفي السفرِ ركعتينِ وفي الخوفِ ركعةً
তোমাদের নবী ﷺ -এর জবানীতে আল্লাহ তা’আলা বাড়ীতে অবস্থানকালীন নামাজ চার রাকাত, সফরের নামাজ দু’ রাকাত এবং ভীতিকর অবস্থানকালীন নামাজ এক রাকাত ফরজ করেছেন। (মুসলিম ৬৮৭)
আর যদি মুকীমের পিছনে ইকতিদা করে থাকেন তাহলে পূর্ণ নামাজই পড়তে হবে। কেননা, আবদুল্লাহ ইবন আব্বাস রাযি. বলেন,
إِذَا دَخَلَ الْمُسَافِرُ فِي صَلَاةِ الْمُقِيمِينَ صَلَّى بِصَلَاتِهِمْ
মুসাফির যদি মুকীমদের সাথে নামাজে শরীক হয় তবে সে তাদের মত (চার রাকাত) নামাজ পড়বে। (মুসান্নাফ ইবন আবী শাইবা ৩৮৪৯)
আর মাগরিব, বিতর ও ফজরের নামাজ পূর্ণই আদায় করবেন। কেননা, এগুলোর কসর নেই। তেমনিভাবে সুন্নত নামাজেরও কসর হয় না। তাই সুন্নত পড়লে পুরোটাই পড়বেন।
প্রকাশ থাকে যে, সফর অবস্থায় পথিমধ্যে তাড়াহুড়া ও ব্যস্ততার সময় সুন্নত পড়বে না। আর গন্তব্যে পৌঁছার পর সুন্নত নামাজ পড়াই উত্তম।
উল্লেখ্য যে, বিশুদ্ধ মত অনুযায়ী সফর অবস্থায় সুন্নতে মুআক্কাদা নামাজগুলো মুকীম অবস্থার ন্যায় আবশ্যক থাকে না; বরং সাধারণ সুন্নতের হুকুমে হয়ে যায়।