জিজ্ঞাসা–১৭১৪: কয় শ্রেণির মানুষের কারণে আল্লাহ্ তা’আলা দুনিয়াকে ধ্বংস করে দেন না? কুর’আন ও হাদিস থেকে জানালে উপকৃত হতাম!–আবু সুফিয়ান।
জবাব: এ বিষয়ে হাদিসে যা পাওয়া যায় তাহল, মুমিন ব্যক্তি যত দিন থাকবে ততদিন পৃথিবী চূড়ান্তভাবে ধ্বংস হবে না। যেমন, আনাস রাযি. থেকে তিনি বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ ﷺ বলেছেন,
لا تقومُ السَّاعةُ حتَّى لا يقالَ في الأرضِ: اللَّهُ اللَّه
যতক্ষণ পর্যন্ত পৃথিবীতে ’আল্লাহ আল্লাহ’ বলার মতো লোক থাকবে ততক্ষণ পর্যন্ত কিয়ামত হবে না। (সহিহ মুসলিম ১৪৮)
একারণেই পৃথিবী ধ্বংস করার উদ্দেশে শিঙ্গায় যে ফুঁৎকার দেওয়া হবে; এর আগেই আল্লাহ তাআলা মুমিনদের রূহগুলোকে এর আগেই হস্তগত করে নিবেন। ফলে পৃথিবীতে কেবল অনিষ্ট লোকেরাই অবশিষ্ট থাকবে। যেমন, আব্দুল্লাহ ইবনে আমর আ’স রাযি. থেকে বর্ণিত সহিহ মুসলিমের এক দীর্ঘ হাদিসে এসেছে, তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ ﷺ বলেন,
ثم يُرْسِلُ اللهُ رِيحًا باردةً من قِبَلِ الشامِ ، فلا يَبْقَى على وجهِ الأرضِ أحدٌ في قلبِه مِثْقالُ ذَرَّةٍ من إيمانِ إلا قَبَضَتْهُ ، حتى لو أنَّ أحدَكم دخل في كَبِدِ جَبَلٍ لَدَخَلَتْ عليه ، حتى تَقْبِضَه ، فيَبْقَى شِرَارُ الناسِ ، في خِفَّةِ الطيرِ ، وأحلامِ السِّباعِ ، لا يَعْرِفُونَ معروفًا ، ولا يُنْكِرونَ مُنْكَرًا
তারপর মহান আল্লাহ শাম দেশ থেকে শীতল বায়ু চালু করবেন; যা যমীনের বুকে এমন কোন ব্যক্তিকে জীবিত ছাড়বে না, যার অন্তরে অণু পরিমাণ মঙ্গল অথবা ঈমান থাকবে। এমনকি তোমাদের কেউ যদি পর্বত-গর্ভে প্রবেশ করে, তাহলে সেখানেও প্রবেশ করে তার জীবন নাশ করবে। তারপর পৃথিবীতে দুর্বৃত্ত প্রকৃতির লোক থেকে যাবে, যারা কাম-প্রবৃত্তি চরিতার্থের ব্যাপারে ক্ষিপ্ত গতিমান পাখির মত হবে, একে অপরের বিরুদ্ধে শত্রুতা ও রক্তপাত করার ক্ষেত্রে হিংস্র পশুর ন্যায় হবে। যারা কখনো ভাল কাজের আদেশ করবে না এবং কোন মন্দ কাজে বাধা দেবে না। (সহিহ মুসলিম ২৯৪০)