জিজ্ঞাসা–১৮২৬: ব্যাংকারকে কি বাসা ভাড়া দেওয়া যাবে?–রাজশাহী থেকে।
জবাব: ব্যাংকারের যদি হালাল হারাম উভয় ধরনের সম্পদ থাকে এবং হারাম সম্পদের পরিমাণ বেশি হয় তাহলে এমন ব্যাংকারের কাছে বাসা ভাড়া দেওয়া বৈধ হবে না।
কিন্তু যদি তার হালাল সম্পদের পরিমাণ বেশি হয় তাহলে তার কাছে বাসা ভাড়া দেওয়া যেতে পারে। (আহসানুল ফাতওয়া-৭/৩০৫)
তবে যে সকল ক্ষেত্রে কোনো কিছুই জানা যাবে না, সেক্ষেত্রে বাসা ভাড়া দেওয়া থেকে বিরত থাকার মাঝেই সতর্কতা রয়েছে। কেননা, রাসূলুল্লাহ ﷺ বলেছেন,
إِنَّ الْحَلاَلَ بَيِّنٌ وَإِنَّ الْحَرَامَ بَيِّنٌ وَبَيْنَهُمَا مُشْتَبِهَاتٌ لاَ يَعْلَمُهُنَّ كَثِيرٌ مِنَ النَّاسِ فَمَنِ اتَّقَى الشُّبُهَاتِ اسْتَبْرَأَ لِدِينِهِ وَعِرْضِهِ وَمَنْ وَقَعَ فِى الشُّبُهَاتِ وَقَعَ فِى الْحَرَامِ
নিশ্চয় হালাল স্পষ্ট; হারামও স্পষ্ট। হালাল ও হারামের মাঝে অনেক সন্দেহযুক্ত বিষয় রয়েছে যা অনেক মানুষই জানে না। সন্দেহযুক্ত বিষয় থেকে বিরত থাকলে তার দীন ও সম্মান হেফাজতে থাকবে। পক্ষান্তরে সন্দেহযুক্ত বিষয়াবলিতে লিপ্ত হলে সে যেন হারামেই লিপ্ত হল…। (সহিহ মুসলিম ৪১৭৮)
প্রখ্যাত সাহাবী আবুদ্দারদা রাযি. বলেন,
تَمَامُ التَّقْوَى أَنْ يَتَّقِيَ اللهَ الْعَبْدُ حَتَّى يَتَّقِيَهُ مِنْ مِثْقَالِ ذَرَّةٍ، وَحَتَّى يَتْرُكَ بَعْضَ مَا يَرَى أَنَّهُ حَلَالٌ خَشْيَةَ أَنْ يَكُونَ حَرَامًا حِجَابًا بَيْنَهُ وَبَيْنَ الْحَرَامِ
পরিপূর্ণ তাকওয়া হচ্ছে, বান্দা আল্লাহকে এমনভাবে ভয় করবে যে, সে বিন্দু পরিমাণ গুনাহ থেকেও নিজেকে বাঁচিয়ে রাখবে। এমনকি সে হারামে লিপ্ত হওয়ার ভয়ে এমন কিছু বিষয়ও ত্যাগ করবে, যা বাহ্যিক দৃষ্টিতে হালাল। যাতে করে তার মাঝে এবং হারামের মাঝে প্রতিবন্ধক তৈরি হয়ে যায়। (জামিউল উলুম ওয়াল হিকাম, ইবনু রজব হাম্বলী ১/২১৭)
শায়েখ উমায়ের কোব্বাদী