জিজ্ঞাসা–৬৪৭: ইসলামে কি কবুতর পালনের ব্যাপারে কোন নিষেধাজ্ঞা আছে?–Md Rashed
জবাব: যথাযথভাবে খাদ্য প্রদান ও যত্ন নিতে পারলে কবুতর পালনে শরিয়তে কোন বাধা নেই। বিস্তারিত দেখুন, জিজ্ঞাসা নং–৩১৩।
ইমাম নববী রহ. বলেন,
اتخاذ الحمام للفرخ والبيض، أو الأنس، أو حمل الكتب، جائز بلا كراهة
কবুতরকে ডিম এবং বাচ্চা ফুটানোর কাজে অথবা শখের জন্য অথবা চিঠিপত্র বহন করার জন্য পালন করা জায়িয। (মিরকাত ৮/৩২৬)
তবে তিনি বলেন,
وأما اللعب بها للتطير، فالصحيح أنه مكروه، فإن انضم إليه قمار ونحوه، ردت الشهادة
কিন্তু তা দ্বারা খেলাধূলা করা মাকরূহ। আর যদি কবুতর উড়িয়ে লটারী দেয়া হয় তবে তার সাক্ষ্য গ্রহণ করা হবে না। (মিরকাত ৮/৩২৬)
কেননা, আবূ হুরায়রা রাযি. হতে বর্ণিত একটি সহিহ হাদিস পাওয়া যায় যে,
أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ – ﷺ – رَأَى رَجُلًا يَتْبَعُ حَمَامَةً ، فَقَالَ : شَيْطَانٌ يَتْبَعُ شَيْطَانَةً
রসূলুল্লাহ ﷺ জনৈক ব্যক্তিকে দেখলেন, সে কবুতরের পিছনে দৌড়াচ্ছে (খেলা করছে)। তখন তিনিﷺ বললেন, এক শয়তান আরেক শয়তানের পিছনে ছুটছে। ( আবূ দাঊদ ৪৯৪০)
উক্ত হাদিসের ব্যাখ্যায় মুহাদ্দিসগণ বলেন,
إِنَّمَا سَمَّاهُ شَيْطَانًا لِمُبَاعَدَتِهِ عَنْ الْحَقّ ، وَاشْتِغَاله بِمَا لَا يَعْنِيه ، وَسَمَّاهَا شَيْطَانَة لِأَنَّهَا أَوْرَثَتْهُ الْغَفْلَة عَنْ ذِكْر اللَّه
তাকে শয়তান বলার কারণ হলো, সে সত্য পথ থেকে দূরে রয়েছে এবং কাজে ব্যস্ত রয়েছে যাতে কোন কল্যাণ নেই। আর তা আল্লাহর স্মরণ থেকে গাফেল করছে এবং এমন কাজে ব্যস্ত রয়েছে যা তাকে দীন ও দুনিয়া অন্বেষণ থেকে অন্যদিকে ফিরিয়ে দিচ্ছে। (আউনুল মা’বুদ সংশ্লিষ্ট হাদিস)
মাওলানা উমায়ের কোব্বাদী