জিজ্ঞাসা–৭৭০: স্ত্রী যদি রাগের মাথায় বলে যে আমার সাথে রাতে থাকা মানে (স্ত্রীর) আমার মায়ের সাথে থাকা । এখন কি করা উচিৎ?– মোঃইউনুস আলী।
জবাব: ইসলামী শরীয়ত তালাক দেয়ার মূল অধিকার যেমন স্ত্রীকে দেয় নি ঠিক তেমনি নিজেকে স্বামীর জন্য হারাম করে নেয়ার অধিকারও দেয় নি। সুতরাং স্ত্রীর উক্ত কথা দ্বারা উক্ত স্বামীর জন্য স্ত্রী হারাম হয়ে যাবে না; বরং স্ত্রীর এরূপ কথা অযথা ও অর্থহীন। তবে এর দ্বারা স্ত্রীর ওপর কসমের কাফফারা দেয়া অত্যাবশ্যকীয় হবে। কারণ স্ত্রীর একথা বলার অর্থ হচ্ছে সে তার স্বামীর সাথে সম্পর্ক না রাখার শপথ করেছে। এক্ষেত্রে শুধু কসমের কাফফারা দিতে হবে। তবে কাফ্ফারা আদায়ের পূর্বে স্বামীকে কাছে আসতে বাঁধা দেয়ার কোন অধিকার স্ত্রীর থাকবে না। আর কসমের কাফফারা হল, দশ জন মিসকীনকে দুই বেলা তৃপ্তি সহকারে খানা খাওয়ানো। অথবা প্রত্যেককে এক জোড়া কাপড় দেওয়া। আর তা সম্ভব না হলে এক নাগাড়ে তিন দিন রোযা রাখা।(বাদায়েউস সানায়ে ৩/৬৩ আলবাহরুর রায়েক ৪/২৮৬ ফাতাওয়া হিন্দিয়া ২/৫৩)
আল্লাহ তাআলা বলেন,
لَا يُؤَاخِذُكُمْ اللَّهُ بِاللَّغْوِ فِي أَيْمَانِكُمْ وَلَكِنْ يُؤَاخِذُكُمْ بِمَا عَقَّدْتُمْ الْأَيْمَانَ فَكَفَّارَتُهُ إِطْعَامُ عَشَرَةِ مَسَاكِينَ مِنْ أَوْسَطِ مَا تُطْعِمُونَ أَهْلِيكُمْ أَوْ كِسْوَتُهُمْ أَوْ تَحْرِيرُ رَقَبَةٍ فَمَنْ لَمْ يَجِدْ فَصِيَامُ ثَلَاثَةِ أَيَّامٍ ذَلِكَ كَفَّارَةُ أَيْمَانِكُمْ إِذَا حَلَفْتُمْ وَاحْفَظُوا أَيْمَانَكُمْ
আল্লাহ তোমাদেরকে পাকড়াও করেন না তোমাদের অনর্থক কসমের জন্যে; কিন্তু পাকড়াও করেন ঐ কসমের জন্যে যা তোমরা মজবুত করে বাঁধো। অতএব, এর কাফফরা এই যে, দশজন দরিদ্রকে খাদ্য প্রদান করবে; মধ্যম শ্রেণীর খাদ্য যা তোমরা স্বীয় পরিবারকে দিয়ে থাক। অথবা, তাদেরকে বস্তু প্রদান করবে অথবা, একজন ক্রীতদাস কিংবা দাসী মুক্ত করে দিবে। যে ব্যক্তি সামর্থ্য রাখে না, সে তিন দিন রোযা রাখবে। এটা কাফফরা তোমাদের কসমের, যখন কসম করবে। তোমরা স্বীয় কসমসমূহ রক্ষা কর এমনিভাবে আল্লাহ তোমাদের জন্য স্বীয় নির্দেশ বর্ণনা করেন, যাতে তোমরা কৃতজ্ঞতা স্বীকার কর। (সূরা মায়িদা ৮৯)
মাওলানা উমায়ের কোব্বাদী