জিজ্ঞাসা–৭৮১: বিতরের নামাজ পাঁচ রাকাত পড়ার নিয়ম কি?/ কিভাবে ৫রাকাত বিতরের নামাজ পড়তে হয়?–মোঃ আলকামাহ খান।
জবাব: বিতির নামাজ তিন রাকাত; পাঁচ রাকাত নয়। কেননা, নবীজী ﷺ বিতির তিন রাকাত পড়তেন এবং এটিই তাঁর অনুসৃত পন্থা। বিস্তারিত দেখুন জিজ্ঞাসা নং–৬১৩।
আর এটি পড়ার নিয়ম হল, অন্যান্য ফরজ নামাজের ন্যায় দুই রাকাআত নামাজ পড়ে প্রথম বৈঠকে বসে তাশাহহুদ পড়বেন। সালাম ফেরাবেন না। তারপর তৃতীয় রাকআত পড়ার জন্য উঠে সুরা ফাতিহার সঙ্গে অন্য কোনো সুরা বা আয়াত মিলাবেন। কিরাআত (সুরা বা অন্য আয়াত মিলানোর পর) শেষ করার পর তাকবির বলে দু’হাত কান পর্যন্ত উঠিয়ে তাকবিরে তাহরিমার মতো হাত বাঁধবেন। তারপর নিঃশব্দে দোয়া কুনুত পড়বেন। দোয়া কুনুত পড়ে পূর্বের ন্যায় রুকু, সিজদার পর শেষ তাশাহহুদ, দরূদ, দোয়া মাছুরা পড়ে ছালাম ফিরানোর মাধ্যমে বিতরের নামাজ সমাপ্ত করবেন। বিস্তারিত দেখুন জিজ্ঞাসা নং–০১।
তবে হ্যাঁ, বিতিরের ব্যাপারে শরীয়তের কাম্য এই যে, তা কিছু নফল নামায পড়ার পর আদায় করা। সুতরাং দুই-চার রাকাত নফল নামায পড়ার পর বিতির আদায় করবে। মাগরিবের মত আগে কোন নফল ছাড়া শুধু তিন রাকাত বিতির পড়া পছন্দনীয় নয়। হাদীস শরীফে আছে, রাসুলুল্লাহ ﷺ বলেছেন,
لا تُوتِرُوا بِثَلاثٍ تَشَبَّهُوا بِصَلاةِ الْمَغْرِبِ ، وَلَكِنْ أَوْتِرُوا بِخَمْسٍ ، أَوْ بِسَبْعٍ ، أَوْ بِتِسْعٍ ، أَوْ بِإِحْدَى عَشْرَةَ رَكْعَةً ، أَوْ أَكْثَرَ مِنْ ذَلِكَ
তোমরা শুধু তিন রাকাত বিতির পড়ো না, এতে মাগরিবের সাদৃশ্যপূর্ণ করে ফেলবে; বরং পাঁচ, সাত, নয়, এগার বা এরও অধিক রাকাতে বিতির পড়ো। (মুস্তাদরাকে হাকেম ১১৭৮ সুনানে কুবরা বাইহাকী ৩/৩১, ৩২)
শায়েখ উমায়ের কোব্বাদী