সহীহ হাদীসের আলোকে কাবলাল জুমআ’ ও বা’দাল জুমআ’ এবং তাহিয়্যাতুল মাসজিদ

জিজ্ঞাসা৭২: আসসালামু আলাইকুম। কাবলাল জুমআ’র এবং বা’দাল জুমআ’র সুন্নাত নামাজ ২ রাকাত করে পড়তে হবে না ৪ রাকাত করে পড়তে হবে? দুখুলুল মাসজিদ এবং কাবলাল,বা’দাল জুমআ’র নামাজ কি এক? দয়া করে কুরআন সুন্নাহর আলোকে বিস্তারিত আলোচনা করলে ভালো হয়।nazmulhossin

জবাব:

এক. কাবলাল জুমআ‘:

মূলত হাদীস ও আছার সামনে রাখলে বোঝা যায়, জুমআ’র আগের সুন্নাত বা কাবলাল জুমআ’ নামায দুই প্রকারের :

এক. সুন্নাতে যায়িদাহ বা নফল, যার যত রাকাত ইচ্ছা পড়তে পারে। যেমন, সালমান ফারসী রাযি. থেকে বর্ণিত, নবী ﷺ বলেছেন

لَا يَغْتَسِلُ رَجُلٌ يَومَ الجُمُعَةِ، ويَتَطَهَّرُ ما اسْتَطَاعَ مِن طُهْرٍ، ويَدَّهِنُ مِن دُهْنِهِ، أوْ يَمَسُّ مِن طِيبِ بَيْتِهِ، ثُمَّ يَخْرُجُ فلا يُفَرِّقُ بيْنَ اثْنَيْنِ، ثُمَّ يُصَلِّي ما كُتِبَ له، ثُمَّ يُنْصِتُ إذَا تَكَلَّمَ الإمَامُ، إلَّا غُفِرَ له ما بيْنَهُ وبيْنَ الجُمُعَةِ الأُخْرَى

কোনো পুরুষ যখন জুমআ’র দিন গোসল করে, সাধ্যমত পবিত্রতা অর্জন করে, তেল ব্যবহার করে বা ঘরে যে সুগন্ধি আছে তা ব্যবহার করে, এরপর (জুমআ’র  জন্য) বের হয় এবং (বসার জন্য) দুই জনকে আলাদা করে না, এরপর তাওফীক মতো নামায পড়ে এবং ইমাম যখন কথা বলে তখন চুপ থাকে, তাহলে অন্য জুমআ’ পর্যন্ত তার (গুনাহ) মাফ করা হয়।(সহীহ বুখারী, হাদীস : ৮৮৩; মুসনাদে আহমদ ৮/৪৩ (২৩৭১০); সহীহ ইবনে হিববান, হাদীস : ২৭৭৬)

দুই. সুন্নতে মুআক্কাদাহ, যার রাকাত-সংখ্যা (চার রাকাত এক সালামে) নির্ধারিত। হাদীস, আছার ও সাহাবায়ে কেরামের আমল দ্বারা এটি প্রমাণিত। যেমন-

১. আবু আইয়ুব আনসারী রাযি. বর্ণনা করেন, 

أنَّ النبيَّ ﷺ كان يُدْمِنُ أربعَ ركعاتٍ عندَ زَوَالِ الشمسِ . فقُلْتُ : يا رسولَ اللهِ إِنَّكَ تُدْمِنُ هذه الأربعَ ركعاتٍ عندَ زَوَالِ الشمسِ ؟ فقال :إِنَّ أبوابَ السَّماءِ تُفْتَحُ عندَ زَوَالِ الشمسِ فلا تُرْتَجُ حتى يُصلَّى الظهْرُ ، فَأُحِبُّ أنْ يَصْعَدَ لي في تِلْكَ السَّاعَةِ خَيْر . قُلْتُ : أَفي كلِّهِنَّ قِرَاءَةٌ ؟ قال : نَعَمْ . قُلْتُ : هل فيهِنَّ تَسْلِيمٌ فَاصِلٌ ؟ قال : لا

রাসূলে কারীম ﷺ সূর্য হেলে যাওয়ার পর চার রাকাত নামায পড়তেন। আমি জিজ্ঞাসা করলাম, এটা কিসের নামায, যা আপনি নিয়মিত পড়েন? তিনি বললেন, এটি এমন একটি সময়, যখন আসমানের দরজাগুলো খুলে দেওয়া হয়। আর আমি পছন্দ করি, যেন এ সময় আমার কোনো নেক আমল উপরে ওঠে। তখন আমি জিজ্ঞাসা করলাম, এর প্রতি রাকাতে কি সূরা মিলাতে হবে? তিনি বললেন, হ্যাঁ। আমি পুনরায় জিজ্ঞাসা করলাম, এই নামায কি এক সালামে না দুই সালামে? তিনি উত্তর দিলেন, এক সালামে। (তিরমিযী ১/৭৭; আবু দাউদ ১/১৮০)

ইমাম তিরমিযী রহ. হাদীসটিকে সহীহ বলেছেন। এই হাদীস থেকে জানা গেল, সূর্য ঢলার পর আল্লাহর রাসূল ﷺ সর্বদা (কোনো দিন বাদ দেওয়া ছাড়া) চার রাকাত পড়তেন। জুমআ’র দিনসহ সপ্তাহের সকল দিন এই হাদীসের আওতাভুক্ত। নতুবা সর্বদা পড়া হয় না। তাছাড়া এ চার রাকাতের যে কারণ বর্ণনা করা হয়েছে তা জুমআ’র দিনেও রয়েছে।

২. সহীহ সনদে আবদুল্লাহ ইবনে মাসউদ রাযি. থেকে বর্ণিত আছে যে,

أَنَّهُ كَانَ يُصَلِّي قَبْلَ الْجُمُعَةِ أَرْبَعًا

তিনি জুমআর নামাযের আগে চার রাকাত নামায পড়তেন। (মুসান্নাফে আবদুর রাযযাক ৩/২৪৭; মুসান্নাফ ইবনে আবী শাইবা ৪/১১৪)

৩. আব্দুল্লাহ ইবনে মাসউদ রাযি. শুধু নিজে চার রাকাত পড়তেন  এমন নয়, তিনি অন্যদেরও চার রাকাত কাবলাল জুমআ’ পড়ার আদেশ দিতেন। তাঁর বিশিষ্ট শাগরিদ আবু আব্দুর রহমান আসসুলামী রাহ.-এর বর্ণনা :

كان عبد الله يأمر أن نُصَلِّي قَبْلَ الجُمْعة أربعا، وبعدها أربعا، حتى جاءنا علي فأمرنا أن نصلي بعدها ركعتين ثم أربعا

আব্দুল্লাহ ইবনে মাসউদ রাযি. আমাদেরকে জুমআ’র আগে চার রাকাত এবং জুমআ’র পরে চার রাকাত পড়ার আদেশ করতেন। পরে যখন আলী রাযি. আগমন করলেন তখন তিনি আমাদেরকে জুমআ’র পরে প্রথমে দুই রাকাত এরপর চার রাকাত পড়ার আদেশ করেন। (মুসান্নাফে আব্দুর রাযযাক খন্ড ৩, পৃ. ২৪৭)

নফল নামাযের বিষয়ে উৎসাহ দেওয়া যায়, আদেশ দেওয়া যায় না। আদেশ করার অর্থ, এই নামায অন্তত সুন্নতে মুয়াক্কাদা, যেমন পরের চার রাকাত সুন্নতে মুআক্কাদাহ।

এ বর্ণনার সনদ সহীহ ও মুত্তাছিল। এই বর্ণনায় লক্ষণীয় বিষয় এই যে, খলীফায়ে রাশিদ আলী ইবনে আবী তালিব রাযি. যখন কুফায় এসে আব্দুল্লাহ ইবনে মাসউদ রাযি.-এর শিক্ষা দেখলেন এবং তাঁর আদেশ সম্পর্কে অবগত হলেন তখন তিনি কাবলাল জুমআ’র বিষয়ে কোনো পরিবর্তন করেন নি, শুধু বা’দাল জুমা চার রাকাতের সাথে আরো দুই রাকাত যোগ করার আদেশ করেছেন। ফলে পরবর্তী সময়ে ইমাম আবু ইউসুফ রহ.-সহ আরো অনেক ইমামের নিকটে, জুমআ’র পরের সুন্নত সর্বমোট ছয় রাকাত। এ থেকেও প্রমাণিত হয় খলীফায়ে রাশিদ আলী ইবনে আবী তালিব রাযি.-এর নিকটেও কাবলাল জুমআ’র সুন্নত চার রাকাত।

৪. জাবালা ইবনে সুহাইম রহ. সহীহ সনদে আবদুল্লাহ ইবনে উমর রাযি. থেকে বর্ণনা করেন,

أَنَّهُ كَانَ يُصَلِّي قَبْلَ الجُمُعَةِ أَرْبَعًا، لا يَفْصِلُ بَيْنَهُنَّ بِسَلامٍ

তিনি জুমআ’র আগে চার রাকাত পড়তেন। মাঝে সালাম ফেরাতেন না। (শরহু মাআনিল আছার, তহাবী পৃ. ১৬৪-১৬৫ আছারুস সুনান পৃ. ৩০২ফাতহুল বারী ৫/৫৩৯)

আবদুল্লাহ ইবনে উমর রাযি. জুমআ’র আগে দীর্ঘসময় নামায পড়তেন। কিন্তু উপরের বর্ণনায় চার রাকাতকে আলাদা করে এজন্যই উল্লেখ করা হয়েছে যে, তা সুন্নতে মুআক্কাদাহ।

 ৫. খাইরুল কুরূনে সাহাবা-তাবেয়ীনের সাধারণ আমল এটিই ছিল। তাবেয়ী আমর ইবনে সায়ীদ ইবনুল আস রহ. (৭০হি.) বলেন,

كنت أرى أصحاب رسول الله ﷺ ، فإذا زالت الشمس يوم الجمعة، قاموا فصلوا أربعا

আমি আল্লাহর রাসূল ﷺ-এর সাহাবীগণকে দেখতাম, জুমআ’র দিন সূর্য যখন ঢলে যেত তখন তাঁরা দাড়িয়ে যেতেন এবং চার রাকাত পড়তেন।

সাহাবা-তাবেয়ীনের এই সাধারণ কর্মধারা প্রমাণ করে, জুমআ’র আগে নফল নামাযের রাকাত-সংখ্যা যদিও নির্ধারিত নয়, প্রত্যেকে নিজ নিজ ইচ্ছা ও অভিরুচি অনুযায়ী পড়বে। তবে এসময় চার রাকাত নামাযের বিশেষ গুরুত্ব ছিল। আর তা পড়া হত সূর্য ঢলে যাওয়ার পর দ্বিতীয় আযানের আগে।

আর আব্দুল্লাহ ইবনে মাসউদ রাযি.-এর ঐ চার রাকাতের আদেশ দেওয়া এবং খলীফায়ে রাশেদের তাঁর সাথে একমত থাকা, বলাই বাহুল্য, নিছক ইজতিহাদের ভিত্তিতে হতে পারে না। এ কারণে তাঁর এই হুকুম ‘‘মারফূ হুকমী’’ হাদীসের অন্তর্ভুক্ত।যারা দাবি করেন কোনো হাদীসেই আল্লাহর রাসূল ﷺ-এর জুমআ’র আগে নামায পড়া প্রমাণিত নয়-না ঘরে, না মসজিদে, তাদের দাবি সত্য নয়। যদি তা সত্যও হত তবুও উপরোক্ত আছর, সাহাবা-তাবেয়ীনের ব্যাপক রীতি এবং উপরে উল্লেখিত ‘মারফূ হুকমী’ একথা প্রমাণে যথেষ্ট হত যে, জুমআ’র আগে চার রাকাত সুন্নতে রাতিবা (মুআক্কাদাহ) রয়েছে।

ইমাম ইবনে রজব রহ. লিখেছেন, ‘এ বিষয়ে ইজমা আছে যে, জুমআ’র আগে সূর্য ঢলার পর নামায পড়া একটি উত্তম আমল।’ মতপার্থক্য শুধু এখানে যে, ঐ নামায জোহরের আগের সুন্নতের মতো সুন্নতে রাতিবা, না আসরের আগের নামাযের মতো মুস্তাহাব। অধিকাংশ ইমামের মতে তা সুন্নতে রাতিবা (মুআক্কাদাহ)। আওযায়ী, সুফিয়ান ছাওরী, আবু হানীফা ও তাঁর সঙ্গীদের সিদ্ধান্ত এটাই। ইমাম আহমদ রহ.-এর বক্তব্য থেকেও তা-ই প্রকাশিত। তবে শাফেয়ী মাযহাবের পরবর্তী অনেক ফকীহ বলেছেন, তা মুস্তাহাব, সুন্নতে রাতিবা নয়। (ফাতহুল বারী, ইবনে রজব, খ. ৫, পৃ. ৫৪১, ৫৪২-৫৪৩)

দুই. বাদাল জুমআ‘:

বা’দাল জুমআ’ বা জুমআ’র পরের  দুই রাকাত সুন্নাতে মুআক্কাদাহ। এর সঙ্গে আরও দুই রাকাত নামাজ পড়া উত্তম।

১. আবূ হুরায়রা রাযি. বলেছেন, রাসূলুল্লাহ ﷺ বলেছেন,

إذا صَلَّيْتُمْ بَعْدَ الجُمُعَةِ فَصَلُّوا أرْبَعًا. [وفي رواية]: قالَ سُهَيْلٌ: فإنْ عَجِلَ بكَ شَيءٌ فَصَلِّ رَكْعَتَيْنِ في المَسْجِدِ، ورَكْعَتَيْنِ إذا رَجَعْتَ

তোমাদের কেউ যখন জুমআ’ (ফরজ) পড়ে তখন সে যেন ‘বা’দাল জুমআ’ চার রাকাত পড়ে নেয়। সুহায়ল রহ. বলেন, ত্বরা থাকলে মসজিদে দুই রাকাত, ঘরে ফিরে দুই রাকাত পড়ো। (সহীহ মুসলিম, হাদীস নং ৮৮১)

২. আব্দুল্লাহ ইবনে মাসউদ রাযি.-এর বিশিষ্ট শাগরিদ আবু আব্দুর রহমান আসসুলামী রহ.-এর বর্ণনা :

كان عبد الله يأمر أن نُصَلِّي قَبْلَ الجُمْعة أربعا، وبعدها أربعا، حتى جاءنا علي فأمرنا أن نصلي بعدها ركعتين ثم أربعا

আব্দুল্লাহ ইবনে মাসউদ রাযি. আমাদেরকে জুমআ’র আগে চার রাকাত এবং জুমআ’র পরে চার রাকাত পড়ার আদেশ করতেন। পরে যখন আলী রাযি. আগমন করলেন তখন তিনি আমাদেরকে জুমআ’র পরে প্রথমে দুই রাকাত এরপর চার রাকাত পড়ার আদেশ করেন। (মুসান্নাফে আব্দুর রাযযাক খন্ড ৩, পৃ. ২৪৭)

৩. হযরত ইবনে উমর রাযি. সম্পর্কে আতা রহ. বলেছেন,

كَانَ إِذَا كَانَ بِمَكَّةَ فَصَلَّى الْجُمُعَةَ تَقَدَّمَ فَصَلَّى رَكْعَتَيْنِ ثُمَّ تَقَدَّمَ فَصَلَّى أَرْبَعًا وَإِذَا كَانَ بِالْمَدِينَةِ صَلَّى الْجُمُعَةَ ثُمَّ رَجَعَ إِلَى بَيْتِهِ فَصَلَّى رَكْعَتَيْنِ وَلَمْ يُصَلِّ فِى الْمَسْجِدِ فَقِيلَ لَهُ فَقَالَ كَانَ رَسُولُ اللَّهِ -ﷺ – يَفْعَلُ ذَلِكَ. أخرجه أبو داود (١١٣٠ ) وقال العراقي: إسناده صحيح. آثار السنن صـ ٣٠٢

তিনি যখন মক্কা শরীফে অবস্থান করতেন এবং জুমআ’র নামায পড়তেন, তখন সামনে অগ্রসর হয়ে দুই রাকাত পড়তেন, এরপর আরেকটু অগ্রসর হয়ে চার রাকাত পড়তেন। আর যখন মদীনা শরীফে জুমআ আদায় করতেন তখন ঘরে ফিরে গিয়ে দুই রাকাত পড়তেন। মসজিদে পড়তেননা। তাকে এ ব্যাপারে জিজ্ঞেস করা হলে তিনি বলেন, রাসূল ﷺ এমনই করতেন। (আবূ দাউদ, হাদীস নং ১১৩০; আল্লামা ইরাকী বলেছেন, এর সনদ সহীহ)

৪. আতা রহ. বলেন,

عن عَطَاءٌ أَنَّهُ رَأَى ابْنَ عُمَرَ يُصَلِّى بَعْدَ الْجُمُعَةِ فَيَنْمَازُ عَنْ مُصَلاَّهُ الَّذِى صَلَّى فِيهِ الْجُمُعَةَ قَلِيلاً غَيْرَ كَثِيرٍ قَالَ فَيَرْكَعُ رَكْعَتَيْنِ قَالَ ثُمَّ يَمْشِى أَنْفَسَ مِنْ ذَلِكَ فَيَرْكَعُ أَرْبَعَ رَكَعَاتٍ قُلْتُ لِعَطَاءٍ كَمْ رَأَيْتَ ابْنَ عُمَرَ يَصْنَعُ ذَلِكَ قَالَ مِرَارًا. أخرجه أبو  داود (١١٣٣ -الصلاة بعد الجمعة) وأصل الحديث في الترمذي أيضا باب الصلاة قبل الجمعة وبعدها.

তিনি হযরত ইবনে উমর রাযি.-কে দেখেছেন, তিনি জুমআর নামাযের পর মুসল্লা থেকে একটু সরে গিয়ে দুই রাকাত পড়লেন। এরপর আরেকটু সরে চার রাকাত পড়লেন। বর্ণনাকারী বলেন, আমি আতা রহ.-কে জিজ্ঞেস করলাম, আপনি হযরত ইবনে উমর রাযি.-কে কতবার এমন করতে দেখেছেন? তিনি বললেন, অনেকবার। (আবূ দাউদ, হাদীস নং ১১৩৩)

৫. ইবরাহীম নাখায়ী রহ. বলেন,

كانوا يصلون قبلها أربعا وبعدها أربعا

সাহাবায়ে কেরাম কাবলাল জুমআ চার রাকাত, বা’দাল জুমআ চার রাকাত পড়তেন। (মুসান্নাফে ইবনে আবী শায়বা, হাদীস নং  ৫৪০৫,৫৪২২)

এজন্যই হাফেজ ইবনে তায়মিয়া রহ. বলেছেন,

وصح أنه ﷺ قال من كان مصليا بعد الجمعة فليصل أربعا وروى الست ركعات عن طائفة من الصحابة رضي الله عنهم

বী কারীম ﷺ থেকে সহীহ সনদে এসেছে, তিনি বলেছেন, যে ব্যক্তি বা’দাল জুমআ পড়বে, সে যেন চার রাকাত পড়ে। আর অনেক সাহাবী  থেকে ছয় রাকাতের কথাও বর্ণিত রয়েছে।

তিন. তাহিয়্যাতুল মাসজিদ:

এটাকে দুখুলুল মাসজিদও বলা হয়। এই নামাজ এবং কাবলাল,বা’দাল জুমআ’র নামাজ এক নয়। কারণ তাহিয়্যাতুল মসজিদ পড়া মুস্তাহাব। পক্ষান্তরে কাবলাল জুমআ’ ও বা’দাল জুমআ’ হচ্ছে সুন্নাতে মুআক্কাদাহ। হাদীসে এসেছে, রাসূলুল্লাহ্‌ বলেছেন,

إِذَا دَخَلَ أَحَدُكُمُ الْمَسْجِدَ فَلاَ يَجْلِسْ حَتَّى يُصَلِّيَ رَكْعَتَيْنِ

তোমাদের কউ মসজিদে প্রবেশ করলে দু’ রাকাত নামাজ (তাহিয়্যাতুল-মাসজিদ) আদায় করার আগে বসবে না। (সহিহ বুখারী, হাদিস ২৬৪)

والله أعلم بالصواب
উত্তর দিয়েছেন

আরো পড়ুনঃ খুতবা মাতৃভাষায় দেওয়া যাবে কি?

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

three × one =