জিজ্ঞাসা–৮১৯: আসসালামু আলাইকুম. আমার প্রশ্ন হলো, ঘুমিয়ে থাকার কারণে ফজরের নামায আদায় করতে না পারলে, বেলা উঠে গেলে ফরজের কাযা আদায় করতে হবে নাকি বেলা উঠার পূর্বের ন্যায় স্বাভাবিক ফরজ আদায় করতে হবে?–মোহাম্মদ আনোয়ার হোসেন।
জবাব: وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته
এক. আল্লাহ তাআলা বলেন,
إِنَّ الصَّلاَةَ كَانَتْ عَلَى الْمُؤْمِنِينَ كِتَابًا ‘مَّوْقُوتًا
নিশ্চয় নামাজ মুমিনদের উপর ফরয নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে। (সূরা নিসা ১০৩)
আর ফজরের নামাজের জন্য নির্দিষ্ট সময় হল– সুবহে সাদিক হতে সূর্য ওঠার আগ পর্যন্ত। কেননা, রাসূলুল্লাহ ﷺ বলেছেন,
وَوَقْتُ صَلاةِ الصُّبْحِ مِنْ طُلُوعِ الْفَجْرِ مَا لَمْ تَطْلُعْ الشَّمْسُ
ফজরের নামাযের সময় শুরু হয় ফজর বা উষার উদয় থেকে শুরু করে সূর্যোদয় পর্যন্ত। (মুসলিম ৬১২)
সুতরাং ঘুম বা ভুলে যাওয়ার কারণে ফজর নামায ছুটে গেলে তার উপর কাযা করা ওয়াজিব। কেননা, রাসূলুল্লাহ ﷺ বলেছেন,
مَنْ نسِيَ صلاةً، أو نام عنها، فكفَّارتُها أن يُصلِّيَها إذا ذكَرَها
যে নামায আদায় করতে ভুলে যায় বা সে সময় ঘুমিয়ে থাকায় তা ছুটে যায়, তার কাফফারাহ হলো সে যখনই তা মনে করবে তখনই (সাথে সাথে) সালাত আদায় করে নিবে। (মুসলিম ৬৮৪)
দুই. ইচ্ছাকৃতভাবে নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে নামায আদায় না করা কবিরা গুনাহ। কেননা, আল্লাহ তাআলা বলেন,
فَوَيْلٌ لِلْمُصَلِّينَ * الَّذِينَ هُمْ عَنْ صَلاتِهِمْ سَاهُونَ
অতএব দুর্ভোগ সেসব নামাযীর,যারা তাদের নামায সম্বন্ধে বে-খবর। (সূরা মাউন ৪,৫)
আব্দুল্লাহ ইবন আব্বাস রাযি. এর তাফসিরে বলেন, الذين يؤخرونها عن أوقاتها ‘যারা নামাযের নির্দিষ্ট সময় থেকে দেরিতে আদায় করে…।’ (তাফসিরে কুরতুবী ২০/২১১)
শায়েখ উমায়ের কোব্বাদী