জিজ্ঞাসা–১২৭৯: আসসালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ। হযরতজি, মেয়ের সম্মতি নিয়ে মেয়ের অভিভাবক মসজিদের বারান্দায় খুতবা পড়ে দুইজন পুরুষের সাক্ষীতে ইজাব কবুল আর মোহরানা নির্ধারণ করে বিবাহ দিছেন। এরপর খেজুরও ছিটাইছেন। কিন্তু মেয়ে উপস্থিত না থাকায় অনেকে বলেন এ বিয়ে শরিয়তসম্মত হয় নি। আবার কাযীকে নিয়ে বাড়িতে নতুন করে বিবাহ পড়ানো হবে। এটা কি ঠিক হবে? হুজুরের মতামত জানতে চাই। মাআসসালাম।–সায়েদ চৌধুরী।
জবাব: وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته
বিয়ের ক্ষেত্রে মেয়ের সম্মতি অপরিহার্য। কেননা, রাসূলুল্লাহ ﷺ বলেছেন,
لاَ تُنْكَحُ الْبِكْرُ حَتَّى تُسْتَأْذَنَ وَلاَ الثَّيِّبُ حَتَّى تُسْتَأْمَرَ فَقِيلَ يَا رَسُولَ اللهِ كَيْفَ إِذْنُهَا قَالَ إِذَا سَكَتَتْ
কুমারী নারী বিয়ে দেয়া যাবে না, যতক্ষণ পর্যন্ত না তার অনুমতি গ্রহণ করা হবে। আর বিধবা নারী বিয়ে দেয়া যাবে না, যতক্ষণ পর্যন্ত না তার মত গ্রহণ করা হবে। প্রশ্ন করা হল, হে আল্লাহর রাসূল! তার অনুমতি কেমন করে? তিনি বললেন, যখন সে নীরব থাকে। (বুখারী ৬৪৯৭)
মেয়ের সম্মতি পাওয়ার পর বিয়ে সম্পাদিত হওয়ার জন্য মেয়েটির মজলিসে উপস্থিত থাকা জরুরি নয়। বরং বাবা কিংবা লিগ্যাল অভিভাবক যদি মেয়েকে বিয়ে দিয়ে দেয় এতেই বিয়ে সহিহ হয়ে যায়। সুতরাং প্রশ্নেল্লেখিত সুরতে বিয়ে শুদ্ধ হয়েছে বিধায় দ্বিতীয় বিয়ে পড়ানোর প্রয়োজন নেই।