অবাঞ্ছিত লোম চল্লিশ দিন পর কাটা এবং রোজা রেখে কাটা যাবে কিনা?

জিজ্ঞাসা–১৮২: Sunechi shoriyat e bidhan royeche 40 din por por shorirer bishesh jaygar chul kete/chhete felte hoy, nahole namaj kobul hoy na. Ami gotobar Kobe korechilam seta mone Korte parchhi na. Ashonka royechhe 40 din par hoye geche. Ekhon to romjan shuru hoye giyechhe, ekhon ki oi jaygar chul kata/chhata jabe? Diner bela roja obosthay kora jabe? Er por ki foroj gosol Korte hobe?–নাম-ঠিকানা প্রকাশে অনিচ্ছুক

জবাব: প্রিয় ভাই, ইসলাম স্বভাবজাত ধর্ম। মানুষের পরিচ্ছতা ও সৌন্দর্য এবং সুস্থতা ও কমনীয়তার নেয়ামত রক্ষায় ইসলামে অনেক গুরুত্ব দেয়া হয়েছে। যার কারণে ইসলাম মানুষের শরীরের অবাঞ্ছিত লোম, নখ ইত্যাদি বিনা ওজরে চল্লিশ দিন পর কাটাকে মাকরূহ তাহরীমি বা গোনাহর কাজ বলেছে। এ মর্মে সাহাবী আনাস রাযি. বলেন,

وُقِّتَ لَنَا فِي قَصِّ الشَّارِبِ، وَتَقْلِيمِ الأَظْفَارِ، وَنَتْفِ الإِبِطِ، وَحَلْقِ الْعَانَةِ، أَنْ لاَ نَتْرُكَ أَكْثَرَ مِنْ أَرْبَعِينَ يَوْماً.

অর্থাৎ, গোঁফ ছোট রাখা , নখ কাঁটা, বগলের লোম উপড়িয়ে ফেলা এবং নাভীর নিচের লোম চেঁছে ফেলার জন্যে আমাদেরকে সময়সীমা নির্দিষ্ট করে দেওয়া হয়েছিল যেন, আমরা তা করতে চল্লিশ দিনের অধিক দেরী না করি। (মুসলিম ২৫৮)

তবে যে বলা হয়, এই সময় অতিক্রম করলে ইবাদত কবুল হয়না ; এই কথা ঠিক নয়।

আর রোজা ভঙ্গের সাথে চুল, নখ ও অবাঞ্ছিত লোম কাটার সাথে কোন সম্পর্ক নেই। রোযা নষ্ট হবার সম্পর্ক হল পানাহার ও সহবাসের সাথে।(মুসান্নাফ আবদুর রাযযাক, হাদীস : ৭৪৬৮) আর অবাঞ্ছিত লোম কাটার পর গোসল ফরজ হয় না।

والله اعلم بالصواب

 

��ন্তব্য

    • ব্লেড, ক্ষুর বা কাঁচি দ্বারা গোপনাঙ্গের লোম পরিস্কার করা পুরুষ ও নারী উভয়ের জন্য জায়েয। অনুরূপভাবে হেয়ার রিমুভার জাতীয় ক্যামিক্যাল দ্বারা পরিস্কার করাতেও শরীয়তের কোন বাধা নেই। তবে পুরুষের জন্য চেঁছে ফেলা এবং মহিলাদের জন্য উপড়িয়ে ফেলা মুস্তাহাব। (কিতাবুল ফিকহ আ’লাল মাযাহিবিল আরবাআ’ ২/৪৫)

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

14 + 13 =