জিজ্ঞাসা–১৪৪৭: আসসালামু আলাইকুম। যেসব নামাজে ইমামের কিরাত শোনা যায়না (যেমন জোহর, আসর, মাগরীবের শেষ রাকাত এবং এশার শেষের দুই রাকাত) সেসব নামাজে মুক্তাদী সূরা ফাতিহা পড়তে পারবে না এর দলিল দিলে উপকৃত হতাম। মুক্তাদী সূরা ফাতিহা না পড়লেও নামাজ হবে। কিন্তু মুক্তাদী পড়তে পারবে না এর দলিল দয়া করে দিবেন? জা-যা কাল্লাহহ খাইরন।–রাসেল হোসেন নিরব।
জবাব: وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته
প্রিয় প্রশ্নকারী দীনী ভাই, ইমামের পেছনে মুক্তাদি নামাজে কোন সূরা বা কেরাত; এমনকি সূরা ফাতিহাও পড়বে না। এমর্মে বহু দলিল রয়েছে, নিম্নে কয়েকটি পেশ করা হল–
১. আল্লাহ তাআলা বলেন,
২. আবু মুসা আলআশআরী রাযি. বলেন,
إنَّ رسولَ اللهِ ﷺ خطَبَنا فبيَّنَ لنا سُنَّتَنا وعلَّمَنا صلاتَنا، فقال: إذا صلَّيْتُم فأقِيموا صفوفَكم، ثمَّ لْيَؤُمَّكم أحدُكم، فإذا كبَّرَ فكبِّروا، وإذا قرَأ فأنصِتوا
রাসূলুল্লাহ ﷺ আমাদেরকে ভাষণ দিয়েছেন, আমাদেরকে আমাদের নিয়ম-কানুন বাতলে দিয়েছেন এবং আমাদেরকে আমাদের নামাজ শিক্ষা দিয়েছেন। তখন তিনি বলেছেন, তোমরা যখন নামাজ আদায় করবে, তোমাদের কাতারগুলো ঠিক করে নিবে। অতঃপর তোমাদের কেউ তোমাদের ইমামতি করবে। সে যখন তাকবীর বলবে, তোমরাও তাকবীর বলবে। সে যখন কেরাত পড়বে, তখন তোমরা চুপ থাকবে। (মুসলিম, পরিচ্ছেদঃ সালাতে তাশাহহুদ পাঠ করা)
৩. রাসূলুল্লাহ ﷺ বলেছেন,
مَنْ كَانَ لَهُ إِمَامٌ فَقِرَاءَتُهُ لَهُ قِرَاءَةٌ
যে ব্যক্তির ইমাম আছে তার ইমামের কেরাতই তার জন্য কেরাত বলে ধর্তব্য হবে। (সুনানে ইবন মাজাহ ৮৫০)
শায়েখ উমায়ের কোব্বাদী