জিজ্ঞাসা–১৬৩৯: এশার সালাতের ওয়াক্ত কতক্ষণ পর্যন্ত থাকে– shazib
জবাব: ইশার নামাজের ওয়াক্ত ফজরের ওয়াক্ত শুরু হওয়ার আগ পর্যন্ত থাকে। তথা সাহরীর ওয়াক্ত শেষ হওয়ার আগ পর্যন্ত থাকে। তবে ইশার নামাজের উত্তম সময় হলো মধ্যরাত পর্যন্ত। বিশেষ কোনো ওযর ছাড়া মধ্যরাতের পরে ইশা পড়া মাকরূহ। অর্থাৎ, যদি কোনো ব্যক্তি বিশেষ কারণে ইশার নামাজ না পড়ে থাকেন তাহলে সুবহে সাদিকের আগ পর্যন্ত তিনি ইশার নামাজ পড়তে পারবেন। তখন তার নামাজ আদায় হয়ে যাবে মাকরুহের সঙ্গে।
হাদিস শরিফে এসেছে, রাসুলুল্লাহ ﷺ বলেছেন,
وَوَقْتُ صَلاةِ الْعِشَاءِ إِلَى نِصْفِ اللَّيْلِ الأَوْسَطِ
আর ইশার ওয়াক্ত মধ্যরাত পর্যন্ত বিদ্যমান থাকে। (সহিহ মুসলিম ১৪১৯)
সহিহ মুসলিমের প্রখ্যাত ভাষ্যকার ইমাম নববী রহ. বলেন,
معناه وقت لأدائها اختيارا أما وقت الجواز فيمتد إلى طلوع الفجر الثاني لحديث أبي قتادة
‘এটা ইশার পছন্দনীয় ওয়াক্ত। বাকী রইল বৈধ ওয়াক্ত। তা ফজর পর্যন্ত প্রলম্বিত; আবূ কাতাদাহর হাদিসের কারণে…। (আলমিনহাজ, শরহু মুসলিম ৫/১১১)
আসসালামু আআলাইকুম শায়েখ কেমন আছেন।
একদিন মসজিদে যাওয়া হয়নি তাই বন্ধুদের নিয়ে বাসায় জামাতের নামাজ পড়ি। নামাজে আমি ইমামতি করি সুরা ফাতেহা পড়ার পর সুরা কদর পড়ি কিন্তু ১ম আয়াত পড়ার পর ২য় আয়াত না পড়ে ৩য় আয়াত পড়েছি পেছন থেকে একজন লোকমা দিয়েছে কিন্তু আমি মনে করেছি আমি সঠিক ছিলাম নামাজের পরে মনে হয়েছে আমি ২য় আয়াতটি পড়িনি। নামাজে সুহু সাজদাও দেয়নি এখন নামাজ কি হয়েছে? আর কোন আয়াত ছুটে গেলে কি নামাজে সুহু সাজদা দিতে হবে নাকি নামাজ বাতিল নাকি নামাজ হবে। জাজাকাল্লাহ খায়রান শায়েখ।
কোনো আয়াত মিসিং হয়ে গেলে সাহু সিজদা ওয়াজিব হয় না। তবে এর কারণে তিন বার সুবহানাল্লাহ বলা যায় পরিমাণ সময় চুপ থাকলে সাহু সিজদা ওয়াজিব হয়। (তাহতাবী ২৫৮; আপ কে মাসায়েল ৪/৫৭)