জিজ্ঞাসা–৪৩০: আসসালামুআলাইকুম। আমার বড় ভাই এখন মক্কায় আছেন হজ্বের উদ্দেশ্যে। ইনশাল্লাহ আমি আগামী বছর হজ্বে যাবো। এখন কি আমার বড় ভাই আমার নামে উমরাহ আদায় করতে পারবেন?– মোহাম্মদ তাফসির আহমেদ
জবাব: وعليكم السلام ورحمة الله
হজের সফরে রাসূলুল্লাহ ﷺ একবারের বেশি ওমরাহ পালন করেন নি এবং তার সাথে যত সাহাবী হজ করেছেন, তাদের কেউ ঐ সফরে এক বারের বেশি ওমরাহ করেছেন বলে প্রমাণ পাওয়া যায় না। এ ছাড়াও রাসূলুল্লাহ ﷺ যত বার ওমরাহ করেছেন, তিনি মক্কার বাহির থেকে মক্কায় প্রবেশের পূর্বে মীকাত থেকে ইহরাম বেঁধে ওমরাহ করেছেন। কিন্তু মক্কায় প্রবেশের পর মক্কা থেকে বের হয়ে হারাম এলাকার বাইরে গিয়ে ইহরাম বেঁধে এসে, তিনি কখনো ওমরাহ করেন নি। এমনকি হিজরতের পূর্বে রাসূল ﷺ তেরো বছর মক্কায় অবস্থান করেন। এ সময় তিনি কখনো মক্বার বাইরে গিয়ে ইহরাম বেঁধে এসে ওমরাহ করেন নি। হজের সফরে রাসূল ﷺ তার সাথী-তামাত্তু হজকারীদের উমরা আদায়ের পর মক্কায় হালাল অবস্থায় অবস্থান করার নির্দেশ দেন। তিনি বলেন, وَأَقِيمُوا حَلَالًا حَتَّى إِذَا كَانَ يَوْمُ التَّرْوِيَةِ فَأَهِلُّوا بِالْحَجِّ অর্থাৎ, তোমরা হালাল অবস্থায় মক্কায় অবস্থান কর। অতঃপর আট তারিখ ইয়ামুত তারওয়িয়ার দিন তোমরা হজের ইহরাম বাঁধ। (মুসলিম ২১৬) তাই সুন্নাত হচ্ছে, হাজীগণ হজের সময় তামাত্তুর ওমরাহ শেষ করে, হালাল অবস্থায় মক্কা অবস্থান করবেন; হজের সফরে একাধিক ওমরাহ না করা। বার বার উমরা না করে, বার বার তাওয়াফ করাই হল অধিক গুরুত্বপূর্ণ। তবে যখন ওমরাহকারীদের খুব ভীড় থাকবে তখন বেশি বেশি তাওয়াফ না করে বেশি বেশি সালাত, কুরআন তেলাওয়াত ও যিকিরে ব্যস্ত থাকা।
তবে হ্যাঁ, আপনার ভাই যদি মদীনা থেকে আবার মক্কায় আসেন তাহলে তিনি আরেকটি ওমরাহ করার সুযোগ পাবেন। আর সেটা তিনি আপনার পক্ষ থেকে করতে পারেন। (হিদায়া ১/২৩৫)
মাওলানা উমায়ের কোব্বাদী
আরো পড়ুন– ☞ ☞ ☞ ☞ নগদ টাকা নাই, জমি আছে; হজ ফরজ হয়েছে কিনা? ☞ হজ্ব আদায়ে সামর্থ্য থাকা সত্ত্বেও বদলী হজ্ব করা
শুক্রিয়া