জিজ্ঞাসা–৫২৬: আসসালামুআলাইকুম। নাপাক (গোসল ফরয) অবস্থায় অথবা বিনা ওযুতে মুখস্তকৃত সুরা বা আয়াতসমূহ মনে মনে পড়া যাবে?–Mohammad Tafsir Ahmed
জবাব: وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته
এক- যার ওপর গোসল ফরয তার জন্য কোরআন পাঠ করা নিষেধ। কেননা, রাসুলুল্লাহ ﷺ বলেছেন,
لَا تَقْرَأِ الحَائِضُ وَلَا الجُنُبُ مِنَ القُرْآنِ شَيْئًا
ঋতুবতী নারী ও জুনুব ব্যক্তি (যার ওপর গোসল ফরয) কোরআনের কিছুই পাঠ করবে না। (তিরমিযি ১৩১, ইবনু মাজাহ ৫৯৫)
তবে গোসল ফরয অবস্থায় মনে মনে কোরআন পাঠ নিষেধ নয়। কেননা, মনে মনে কোরআন পাঠ করাকে পরিভাষায় ‘তেলাওয়াত বা কেরাত‘ বলা হয় না; বরং পরিভাষায় একে ‘জিকর ও ফিকর’ বলা হয়। যেমন, ইমাম কাসানি রহ. বলেন, القراءة لا تكون إلا بتحريك اللسان بالحروف যবান হরফসহ নড়াচড়া ছাড়া কেরাত হয় না। (বাদায়ে’ ৪/১১৮)
দুই- বিনা ওযুতে কোরআন পড়া যায় ; তবে কোরআন স্পর্শ করা যায় না। হাদিস শরিফে এসেছে, আলী রাযি. বলেন,
كان رسول الله ﷺ يقضي حاجته, ثم يخرج فيقرأ القرآن ويأكل معنا اللحم, ولا يحجبه ” وربما قال لا يحجزه ” من القرآن شيء ليس الجنابة
রাসুলুল্লাহ ﷺ পায়খানা হতে বের হয়ে কোরআন পড়তেন এবং আমাদের সাথে গোশত খেতেন। গোসল ফরয হওয়া ছাড়া কোরআন হতে তাঁকে কোন কিছু বাধা দিতে পারত না। (মুসনাদে আহমাদ ৬৪০)
মাওলানা উমায়ের কোব্বাদী
☞ ফরয গোসল না করে কোরআন শরীফ পড়ে ফেললে করণীয় কি?
☞ শিশু ওযু ছাড়াই কোরআন ধরতে পারবে কি?
☞ নাপাক অবস্থায় কোরআন স্পর্শ করলে কী হবে?
জাযাকাল্লাহ