জিজ্ঞাসা–১৭৭৬: দোয়ার দ্বারা কী হায়াতের পরিবর্তন হবে?–মাসুদ আযহার।
জবাব: প্রিয় প্রশ্নকারী ভাই, হাদীস শরীফে এমন কিছু আমলের কথা বলা হয়েছে যে, যার মাধ্যমে হায়াত বৃদ্ধি পায়। যেমন, আবূ হুরায়রা রাযি. থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি রাসুলুল্লাহ ﷺ-কে বলতে শুনেছি,
مَن سَرَّهُ أنْ يُبْسَطَ له في رِزْقِهِ، أوْ يُنْسَأَ له في أثَرِهِ، فَلْيَصِلْ رَحِمَهُ
যে লোক তার রিযক প্রশস্ত করতে এবং আয়ু বৃদ্ধি করতে চায়, সে যেন তার আত্মীয়তার সম্পর্ক রক্ষা করে। (বুখারী ৫৫৫৯)
অপর হাদীসে এসেছে, সালমান ফারসী রাযি. থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ ﷺ বলেছেন,
لا يردُّ القضاءَ إلَّا الدُّعاءُ ، ولا يزيدُ في العمرِ إلَّا البرُّ
দোয়া ছাড়া আর কিছুই তাকদীর রদ করতে পারে না আর নেক আমল ছাড়া আর কিছুই বয়সে বৃদ্ধি ঘটায় না। (তিরমিযী ২১৩৯)
সুতরাং বোঝা গেল, দোয়ার মাধ্যমেও হায়াত বৃদ্ধি পেতে পারে। তবে হায়াত বৃদ্ধির ব্যখ্যা কী? এ সম্পর্কে মুহাদ্দিসগণ বলেন,
حُصُولُ الْقُوَّةِ فِي الْجَسَدِ
শরীরের শক্তি বৃদ্ধি হওয়া।
অথবা-
بِالْبَرَكَةِ فِي عُمْره , وَالتَّوْفِيق لِلطَّاعَاتِ , وَعِمَارَة أَوْقَاته بِمَا يَنْفَعهُ فِي الْآخِرَة , وَصِيَانَتهَا عَنْ الضَّيَاع فِي غَيْر ذَلِكَ
হায়াত বৃদ্ধি পাওয়া মানে হায়াতে বরকত পাওয়া, অনেক নেক আমল করার তাওফীক হওয়া। তার সময়গুলো আখেরাতে উপকারে আসবে এমনভাবে সাজানো এবং সময় নষ্ট হওয়া থেকে বেঁচে থাকা ইত্যাদি।
অথবা-
بَقَاءُ ذِكْرِهِ الْجَمِيلِ بَعْدَ الْمَوْتِ
হায়াত বৃদ্ধি পাওয়া মানে মৃত্যুর পরেও তার সুনাম স্থায়ী থাকা।
অথবা-
يُكْتَبُ عُمُرُه مُقَيَّدًا بِشَرْطٍ كَأَنْ يُقَالَ : إِنْ وَصَلَ رَحِمَهُ فَلَهُ كَذَا وَإِلَّا فَكَذَا
(লওহে মাহফুজে) তার বয়স শর্তযুক্তভাবে লিপিবদ্ধ। যেমন, এভাবে লেখা আছে যে, যদি সে আত্মীয়তার সম্পর্ক রক্ষা করে (বা যদি সে হায়াত বৃদ্ধির দোয়া করে) তাহলে হায়াত বৃদ্ধি পাবে, অন্যথায় পাবে না। (ফাতহুল বারী ৪/৩০২)
শায়েখ উমায়ের কোব্বাদী