দোয়ায়ে কুনুতের পরিবর্তে তিনবার সূরা ইখলাস পড়া যাবে কি?

জিজ্ঞাসা–৪৩২: আসসালামু আলাইকুম। হযরত আমার জানামতে বিতরের নামাজে দোয়া কুনুত পড়া ওয়াজিব। যদি কেউ দোয়ায়ে কুনুত না পারে তবে তিনি রব্বানা আতিনা ফিদ দুনিয়া …. বা এরকম আরো কিছু দোয়া পড়তে পারেন। তবে জনৈকার ভাষ্যমতে দোয়া কুনুত জানা থাকলেও এর স্থলে তিনবার ইখলাস পড়া যাবে। এবং তিনিসহ আরো কয়েকজন বলেছেন যে, মক্কার একটা মসজিদেও নাকি নিয়মিত তিনবার ইখলাসের সহিত বিতর নামাজ পড়া হয়। এক্ষেত্রে দুটি বিষয় জানতে চাচ্ছি!১, স্বাভাবিক অবস্থায় দোয়ায়ে কুনুতের পরিবর্তে তিনবার সূরা ইখলাস পড়া গ্রহনীয় কিনা? ২, যখন ব্যক্তির দোয়া কুনুত জানা থাকবেনা সেই অবস্থায় তিনবার ইখলাস পড়ার কোনো নিয়ম আছে কিনা? হযরত এবিষয়ে খানিকটা সংশয়ে আছি। এবং অনেকেই এভাবে নামাজ পড়েন, তাই যদি বিষয়টি গলত হয়ে থাকে তাহলে অতিশীঘ্রই সংশোধন করা জরুরী। বিবেচনায় রেখে দ্রুততার সহিত উত্তর দেবার অনুরোধ রইলো। আমাতুল্লাহ। মুহাম্মদপুর ঢাকা, ১২০৭

জবাব: وعليكم السلام ورحمة الله

বিতর নামাযে দোয়ায়ে কুনুত পড়া ওয়াজিব। দোয়ায়ে কুনুতের পরিবর্তে তিনবার সূরা ইখলাস পড়া গ্রহণযোগ্য নয়। কারণ সূরা ইখলাস কুনুত বা দোয়া সম্বলিত সূরা নয়। কুনুতের উদ্দেশ্য হচ্ছে- দোয়া করা। এক্ষেত্রে নির্দিষ্ট দোয়া ব্যতীত অন্য যে কোনো দোয়া পড়লেও ওয়াজিব আদায় হয়ে যাবে এবং নামায সহীহ হয়ে যাবে। অবশ্য হাদীসে বর্ণিত দোয়া যেমন ‘আল্লাহুম্মা ইন্না নাসতায়িনুকা’ এটা পড়া সুন্নত। তাই হাদীসে বর্ণিত এ দোয়া কেউ না জানলে দ্রুত শিখে নিবে।

فأي دعاء دعا به حصل القنوت ولو قنت بآية ، أو آيات من القرآن العزيز وهي مشتملة على الدعاء حصل القنوت ، ولكن الأفضل ما جاءت به السنة

যে কোন দোয়া পড়লে এর দ্বারা কুনুত হয়ে যাবে; এমনকি দোয়া সম্বলিত এক বা একাধিক কুরআনের আয়াত পড়লেও কুনুতের উদ্দেশ্য হাছিল হয়ে যাবে। তবে, হাদিসে যে দোয়া এসেছে সেটা পড়া উত্তম। (ইমাম নববীর ‘আল-আযকার ৫০)

কেউ যদি এক্ষেত্রে কোনো দোয়াই না পড়ে তাহলে পুনরায় নামায আদায় করতে হবে। (আলমুহীতুল বুরহানী ২/২৭০; আলবাহরুর রায়েক ২/৪২; রদ্দুল মুহতার ১/৪৬৮; হাশিয়াতুত তহতাবী আলাদ্দুর ১/২৮০)

والله اعلم بالصواب
উত্তর দিয়েছেন
শায়েখ উমায়ের কোব্বাদী

১ টি মন্তব্য

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

1 × 2 =