জিজ্ঞাসা–৪৮৫: আসসালামু আলাইকুম। কাপড়ে নাপাকী থাকলে এবং সেখানে বালিকণা লেগে থাকলে সে বালিকণা পরবর্তীতে অল্প পানিতে পরলে বা অন্য অঙ্গে পরলে তা নাপাক হবে কী?–মাহ্দী
জবাব: وعليكم السلام ورحمة الله
নাপাক কাপড়ে লেগে থাকা বালিকণায় যদি নাপাকির চিহ্ন পরিলক্ষিত না হয় তাহলে কেবল সন্দেহের কারণে ওই বালিকণা নাপাক হয় না। হ্যাঁ, বালিকণায় যদি নাপাকির চিহ্ন দেখা যায় অথবা নিশ্চিতভাবে জানা যায় যে, তার সঙ্গে নাপাকি লেগেছিল তাহলে ওই বালিকণা নাপাক। ওই বালিকণা অল্প পানিতে পড়লে পানিও নাপাক হয়ে যাবে। কারণ, অল্প পানির মধ্যে নাপাক বস্তু -বেশি হোক বা কম হোক- পতিত বা মিশ্রিত হওয়ার দ্বারা পানি নাপাক হয়ে যায়। রাসুলুল্লাহ ﷺ বলেছেন,
إِذَا اسْتَيْقَظَ أَحَدُكُمْ مِنْ نَوْمِهِ ، فَلَا يَغْمِسْ يَدَهُ فِي الْإِنَاءِ حَتَّى يَغْسِلَهَا ثَلَاثًا ، فَإِنَّهُ لَا يَدْرِي أَيْنَ بَاتَتْ يَدُهُ
তোমাদের কেউ ঘুম থেকে উঠে তার হাত তিনবার ধোয়ার পূর্বে যেন পানির পাত্রে অথবা উযুর পানিতে না ডুবায়। কেননা তার জানা নেই, তার হাত কোথায় রাত কাটিয়েছে। (বুখারী ১৬২)
ফিকাহবিদ্গণ বলেন, এ হাদিস থেকে বুঝা যায়, নাপাক বস্তু -বেশি হোক বা কম হোক- অল্প পানির সঙ্গে সংযোগ স্থাপন করলেই ওই পানি নাপাক হয়ে যায়।
পক্ষান্তরে উক্ত বালিকণা যদি শরীরে বা কাপড়ে লাগে তাহলে তার দাগ এক দেরহাম পরিমাণ হলে অসুবিধা নেই। কিন্তু যদি এক দিরহাম থেকে অধিক হয় তাহলে যতটুকুতে লেগেছে ততটুকু নাপাক হয়ে যাবে।
عن علي وبن مسعود أنهما قدرا النجاسة بالدرهم وكفى بهما حجة في الاقتداء
হযরত আলী রাযি. এবং ইবনে মাসউদ রাযি. নাপাক হওয়ার পরিমাণ নির্দিষ্ট করেছেন এক দিরহাম। আর মানার জন্য দলিল হিসাবে এই দু’জনই যথেষ্ট। (উমদাতুল কারী ৩/১৪০)
উল্লেখ্য, হাতের তালু সোজা করে পানি নিলে যতটুকু পানি তালুতে আটকে যায়; ততটুকু আয়তনকে এক দিরহাম ধরা হয়।
মাওলানা উমায়ের কোব্বাদী