জিজ্ঞাসা–৪৫৩: শরীরের অবাঞ্ছিত লোমসমূহের মধ্যে যেগুলো মলদ্বারের আশেপাশে আছে, সেগুলো পরিষ্কার করা একটু কঠিন মনে হয়। কারণ কেঁচি বা রেজর যা-ই ব্যবহার করি না কেন, চামড়ায় অথবা স্পর্শকাতর স্থানে আঘাত লাগার ঝুঁকি থাকে। নাভীর নিচের পশম পরিষ্কার করার যে নির্দেশনা শরীয়াতে দেয়া হয়েছে, তার মধ্যে কি মলদ্বারের আশেপাশের জায়গাও অন্তর্ভুক্ত? বিস্তারিত জানালে উপকৃত হব। জাযাকাল্লাহ্।–রাশেদ
জবাব: নাভীর নীচের অবাঞ্ছিত লোমের সীমানা হলো : পায়ের পাতার উপর ভর করে বসা অবস্থায় নাভী থেকে চার পাঁচ আঙ্গুল পরিমাণ নীচে যে ভাঁজ বা রেখা সৃষ্টি হয় সেখান থেকেই অবাঞ্ছিত লোমের সীমানা শুরু। ঐ ভাঁজ থেকে দুই উরু পর্যন্ত ডান বামের লোম, গোপনাঙ্গের চার পাশের লোম, অণ্ডকোষ থেকে মলদ্বার পর্যন্ত উদগত লোম এবং প্রয়োজনে মলদ্বারের আশ-পাশের লোম অবাঞ্ছিত লোমের অন্তর্ভুক্ত।
লোম পরিস্কার করার উপায় : আসল উদ্দেশ্য যেহেতু লোম পরিস্কার করা তাই যেসব উপায় গ্রহণের মাধ্যমে লোম পরিস্কার হবে সেসব উপায়ই গ্রহণ করা জায়েয আছে। সুতরাং ব্লেড, ক্ষুর, কাঁচি, ক্রীম, পাউডার সবই ব্যাবহার করা জায়েয আছে। অবশ্য পুরুষের জন্য এক্ষেত্রে ব্লেড বা ক্ষুর ব্যবহার করা উত্তম। (আল মাউসুয়াতুল ফিকহিয়্যা কুয়েতিয়্যা ৩/২১৬-২১৭, মরদূকে লেবাস আউর বালূঁকে শরয়ী আহকাম ৮১)
শায়েখ উমায়ের কোব্বাদী
এখানে উরু বলতে কি হাঁটু পর্যন্ত সকল লোম উপড়াতে হবে?
মানে উরুর সকল লোম এর আওতায় পড়ে???
উরু বলতে উরু পর্যন্ত। সুতরাং উরুর সকল লোম বা হাঁটু পর্যন্ত এর আওতায় পড়েনা।