জিজ্ঞাসা–৪১৭: আসসালামুআলাইকুম। মাসিক আয়ের অর্থ থেকে ২.৫ শতাংশ আলাদা করে রাখা অর্থ কি মসজিদ/মাদ্রাসায় দান করা যাবে?–Mohammad Tafsir Ahmed
জবাব: وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته
প্রিয় প্রশ্নকারী ভাই, আপনি যদি আপনার আয় থেকে একটা নির্ধারিত অংশ মসজিদ-মাদ্রাসায় দান করেন, তাহলে এটা অবশ্যই উত্তম খাতে দান করা হবে। কেননা, দান -সদকা আল্লাহ তা‘আলার সাথে এমন এক ব্যবসা যার কোনো ক্ষয়-ক্ষতি নেই। আল্লাহ তা‘আলা বলেন,
إِنَّ ٱلَّذِينَ يَتۡلُونَ كِتَٰبَ ٱللَّهِ وَأَقَامُواْ ٱلصَّلَوٰةَ وَأَنفَقُواْ مِمَّا رَزَقۡنَٰهُمۡ سِرّٗا وَعَلَانِيَةٗ يَرۡجُونَ تِجَٰرَةٗ لَّن تَبُورَ لِيُوَفِّيَهُمۡ أُجُورَهُمۡ وَيَزِيدَهُم مِّن فَضۡلِهِۦٓۚ إِنَّهُۥ غَفُورٞ شَكُورٞ
“নিশ্চয় যারা আল্লাহ তা‘আলার কিতাব তিলাওয়াত করে, সালাত কায়েম করে এবং আমি তাদেরকে যে রিযক দিয়েছি তা থেকে গোপনে ও প্রকাশ্যে (একমাত্র আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য তাঁরই পথে) ব্যয় করে, বস্তুতঃ তারাই আশা করছে এমন এক ব্যবসার যার কোনো ক্ষয়-ক্ষতি নেই। যেন আল্লাহ তা‘আলা তাদেরকে নিজ কর্মের পূর্ণ প্রতিদান দিতে পারেন। এমনকি তিনি নিজ অনুগ্রহে তাদেরকে আরো বেশী করে দিবেন। তিনি তো অত্যন্ত ক্ষমাশীল সুকৃতজ্ঞ”। (সূরা ফাত্বির ২৯-৩০)
তাছাড়া মসজিদ-মাদ্রাসায় দান করলে দীর্ঘস্থায়ী সদকার (সদকায়ে জারিয়া) সাওয়াব পাওয়া যায়; যার সাওয়াব মৃত্যুর পরও চালু থাকে। আবু হুরায়রা রাযি. থেকে বর্ণিত হাদীসে রাসূলুল্লাহ ﷺ বলেন,
إِذَا مَاتَ الإِنْسَانُ انْقَطَعَ عَمَلُهُ إِلاَّ مِنْ ثَلاَثٍ: صَدَقَةٍ جَارِيَةٍ، وَعِلْمٍ يُنْتَفَعُ بِهِ، وَوَلَدٍ صَالِحٍ يَدْعُوْ لَهُ
“কোনো মানুষ মারা গেলে তার সকল আমল বন্ধ হয়ে যায়। তবে তিনটি আমল তার মৃত্যুর পরও চালু থাকে, দীর্ঘস্থায়ী সদকা, এমন জ্ঞান যা দিয়ে মানুষ তার মৃত্যুর পরও লাভবান হয়, এমন নেককার সন্তান যে তার মৃত্যুর পর তার জন্য দো‘আ করে।” (তিরমিযী ১৩৭৬)
শায়েখ উমায়ের কোব্বাদী