জিজ্ঞাসা–১৩৩৭: স্ত্রীর সাথে সহবাস করে গোসল দেবার আগে কিছু খাওয়া যাবে কিনা?– রাসেল।
জবাব: সহবাসের পর ফরজ গোসল না করে নামায, তাওয়াফ, কুরআন তেলাওয়াত ও স্পর্শ করা এবং মসজিদে গমণ করা ছাড়া খাওয়া-দাওয়াসহ অন্যান্য সবধরণের কাজ করা যাবে।
আবু হুরায়রা রাযি. থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, তাঁর সঙ্গে মদিনার কোন এক পথে রাসূল ﷺ-এর দেখা হল। আবু হুরায়রা রাযি. তখন জানাবাতের (গোসল ফরজ) অবস্থায় ছিলেন। তিনি বলেন, আমি নিজেকে নাপাক মনে করে সরে পড়লাম। পরে আবু হুরায়রা রাযি. গোসল করে এলেন। পুনরায় সাক্ষাৎ হলে রাসূল ﷺ জিজ্ঞেস করলেন, আবু হুরায়রা ! কোথায় ছিলে? আবু হুরায়রা রাযি. বললেন, আমি জানাবাতের অবস্থায় আপনার সঙ্গে বসা সমীচীন মনে করি নি। নবীজী ﷺ বললেন, سُبحانَ اللَّهِ إنَّ المُؤْمِنَ لا ينجُسُ সুবাহানাল্লাহ্! মু’মিন নাপাক হয় না। (নাসাঈ ২৬৯)
তবে অন্যান্য কাজ একেবারে নিষেধ না হলেও কোনো কাজ করার আগে গোপনাঙ্গ ধুয়ে নেয়া ও অজু করে করে নেয়ার কথা একাধিক হাদীসে এসেছে। যেমন, আয়েশা রাযি. বলতেন ,
إذا أصابَ أحدُكُمُ المرأةَ ثمَّ أرادَ أن يَنامَ فلا يَنامُ حتَّى يتوضَّأَ وضوءَهُ للصَّلاةِ
তোমাদের কেউ স্ত্রী সহবাস করলে, অতঃপর গোসলের পূর্বে ঘুমানোর ইচ্ছা করলে সে নামাযের ওযুর মত ওযু না করে ঘুমাবে না। (মুয়াত্তা মালিক ৭৭)
উল্লেখ্য, ফরজ গোসল বিলম্বিত হওয়ার কারণে যদি নামাজ কাজা হয়ে যায় তাহলে আপনাকে গোনাহগার হতে হবে। আপনার তীব্র লজ্জা এক্ষেত্রে গ্রহণযোগ্য কোনো ওজর নয়; যার কারণে নামায আদায়ে এ বিলম্ব করা যেতে পারে। সুতরাং এ ব্যাপারে সতর্ক থাকা জরুরি।
শায়েখ উমায়ের কোব্বাদী