জিজ্ঞাসা–১৩৫২: আসসালামুয়ালাইকুম। আমার ওয়াইফ-এর মাসিক। এখন সে রমজানে কোন আমল করতে পারবে আর পারবে না? দয়া করে জানাবেন।-মোঃ সাইদুল সিকদার।
জবাব: وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته
যে নারীর মাসিক শুরু হয়েছে তিনি শুধু নামায, রোজা, কোরআন তিলাওয়াত ও স্পর্শ করা, বায়তুল্লাহ তওয়াফ ও মসজিদে ইতিকাফ ব্যতীত বাকী সমস্ত ইবাদত করতে পারেন। যেমন–
১. তিনি জিকির করতে পারেন। সুতরাং যে নারীর মাসিক শুরু হয়েছে তিনি বেশী বেশী সুবহানাল্লাহ, আলহামদুলিল্লাহ, লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ, আল্লাহু আকবার, সুবহানাল্লাহি ওয়াবি হামদিহি ওয়া সুবহানাল্লাহিল আযিম ইত্যাদি জপতে পারেন।
২. তিনি সকাল সন্ধ্যায় পঠিতব্য দোয়াগুলো পড়তে পারেন। যেমন, তিনি সকালে ১০০ বার পড়তে পারেন
لاَ إِلَهَ إِلاَّ اللَّهُ وَحْدَهُ لاَ شَرِيكَ لَهُ، لَهُ الْمُلْكُ وَلَهُ الْحَمْدُ، وَهُوَ عَلَى كُلِّ شَيْءٍ قَدِيرٌ
এটা তার জন্য দশজন দাসমুক্তির অনুরূপ হবে, তার জন্য একশত সওয়াব লেখা হবে, সে দিন সন্ধ্যা পর্যন্ত এটা তার জন্য শয়তান থেকে সুরক্ষা হবে। সে যে সওয়াব পাবে আর কেউ তার চেয়ে উত্তম সওয়াব পাবে না; তবে হ্যাঁ কেউ যদি তার চেয়ে বেশি আমল করে সে পাবে। (বুখারী ৬০৪০)
এছাড়াও সকাল সকাল সন্ধ্যায় পঠিতব্য আরো যে সকল দোয়া আছে, সেগুলোও পড়তে পারেন।
৩. কুফরি ও শিরকের ফেতনা বর্তমানে প্রকট। তাই তিনি নিম্নোক্ত দোয়াটি অধিকহারে পড়তে পারেন।
ااَللَّهُمَّ اِنِّىْ اَعُوْذُبِكَ اَنْ أُشْرِكَ بِكَ وَ اَنَا أَعْلَمُ وَ اَسْتَغْفِرُكَ لِمَا لَا أَعْلَمُ
হে আল্লাহ, আমি সজ্ঞানে তোমার সঙ্গে শিরক করা থেকে তোমার কাছে আশ্রয় চাই এবং যা আমার অজ্ঞাত তা থেকেও তোমার কাছে ক্ষমা চাই। (সহিহ আলআদাবুল মুফরাদ ৫৫১)
৪. তিনি দোয়া ইউনুস لَا إِلَـٰهَ إِلَّا أَنتَ سُبْحَانَكَ إِنِّي كُنتُ مِنَ الظَّالِمِينَ বেশী বেশী জপতে পারেন। কেননা, কেউ যদি বিপন্ন বা বিপদগ্রস্ত অবস্থায় এই দোয়া পাঠ করে আল্লাহর রহমতে সে বিপদ থেকে উদ্ধার পায়। (তিরমিযি ৩৫০৫)
৫. তিনি অধিকহারে ইস্তেগফার করতে পারেন। কেননা, রাসূলুল্লাহ ﷺ বলেছেন,
مَنْ لَزِمَ الاِسْتِغْفَارَ جَعَلَ اللَّهُ لَهُ مِنْ كُلِّ ضِيقٍ مَخْرَجًا وَمِنْ كُلِّ هَمٍّ فَرَجًا وَرَزَقَهُ مِنْ حَيْثُ لاَ يَحْتَسِب
যে নারীর মাসিক শুরু হয়েছে তিনি রমজানে উল্লেখিত ইবাদতগুলোসহ অন্যান্য ইবাদত পালন করতে পারেন।
আমরা আল্লাহ তা‘আলার কাছে প্রার্থনা করছি তিনি যা পছন্দ করেন ও যাতে সন্তুষ্ট হন আমাদেরকে যেন তা পালন করার তাওফিক দেন এবং আমাদের নেক আমলগুলো কবুল করে নেন।
শায়েখ উমায়ের কোব্বাদী