জিজ্ঞাসা–৩৫১: আসসালামু আলাইকুম। মাহরাম ছাড়া ত মেয়েদের সফরের দূরত্বে একা যাওয়া নিষেধ, তাহলে অনেক মেয়ে আছে যাদের বাড়ী এক জেলায় কিন্তু হোস্টেলে থেকে অন্য জেলায় পড়ালেখা করে তাদের ক্ষেত্রে হুকুম কি?– Muhaimin
জবাব: وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته
প্রিয় প্রশ্নকারী ভাই, নারীকে মাহরাম ব্যতীত সফর করতে না দেওয়া ইসলামের ব্যাপক এক কুশলী বিধান। মাহরাম পুরুষ এজেন্যেই সঙ্গে থাকবে হবে, যেন সে তাকে লোলুপ ও পাপাচারীদের থেকে সংরক্ষণ করতে ও নিরাপত্তা দিতে পারে । মাহরাম কোন পুরুষ তাদের সাথে না থাকলে দুশ্চরিত্রের লোকদের মনে তাদের প্রতি কুচিন্তা জাগ্রত হওয়া অসম্ভব কিছু নয়। এভাবে তারা তাদের পিছু নিতে পারে। আর নারীরা তো প্রকৃতিগতভাবেই দুর্বল। তারা তাদের মান, ইযযত, আব্রু নিয়ে সামান্যতেই বিব্রত বোধ করে। এমতাবস্থায় দুষ্টলোকেরা তাদের পিছু নিলে বাধা দেওয়া বা আত্মরক্ষামূলক কিছু করা তাদের জন্য কষ্টকর তো বটেই।
হাদীস শরীফে এসেছে, ইবনে আববাস রাযি. থেকে বর্ণিত, নবী করীম ﷺ বলেছেন,
لاَ تُسَافِرِ الْمَرْأَةُ إِلاَّ مَعَ ذِي مَحْرَمٍ، وَلاَ يَدْخُلُ عَلَيْهَا رَجُلٌ إِلاَّ وَمَعَهَا مَحْرَمٌ ”. فَقَالَ رَجُلٌ يَا رَسُولَ اللَّهِ إِنِّي أُرِيدُ أَنْ أَخْرُجَ فِي جَيْشِ كَذَا وَكَذَا، وَامْرَأَتِي تُرِيدُ الْحَجَّ. فَقَالَ ” اخْرُجْ مَعَهَا
কোনো মহিলা তার মাহরাম ব্যতিরেকে সফর করবে না এবং কোনো পুরুষ মাহরাম ছাড়া কোনো মহিলার নিকট যাবে না। অতপর এক ব্যক্তি বললেন, হে আল্লাহর রাসূল! আমি অমুক সৈন্যদলের সাথে জিহাদে যেতে চাই আর আমার স্ত্রী হজ্বে যেতে চায়। নবী করীম ﷺ বললেন, তুমিও তার সাথে হজ্বে যাও। (সহীহ বুখারী ১৭৪০)
উক্ত হাদিস থেকে স্পষ্টভাবে প্রমাণিত হয়, মাহরাম ব্যতীত সফর করতে না পারার এই হুকুম সকল প্রকার সফরের জন্য সমভাবে প্রযোজ্য; এমনকি হজ্জের সফরের ক্ষেত্রেও।
সুতরাং যে সব মেয়ে হোস্টেল থাকে তাদের ক্ষেত্রে আমাদের পরামর্শ হল, তার মাহরাম তাকে হোস্টেল পৌঁছে দেবেন। আবার যখন ফেরার প্রয়োজন পড়বে, তখন মাহরামের সঙ্গে তিনি সফর করবেন। কিন্তু মাহরাম ছাড়া সফর করার অনুমতি শরিয়তে কোনভাবেই দেয় না। আর শরিয়তের বিধান মানার মাঝেই রয়েছে কল্যাণ ও নিরাপত্তা।
আল্লাহ তাওফিকদাতা।
শায়েখ উমায়ের কোব্বাদী
চমৎকার।
খুবই ভালো পরামর্শ