স্ত্রী উপভোগের সময় কখন গোসল ফরজ হয় এবং কখন হয় না?

জিজ্ঞাসা–১১১৩: স্ত্রীর শরীরে লিঙ্গ প্রবেশ করালে গোসল ফরজ হয়, নাকি আদর সোহাগ করলেই গোসল ফরজ হয়?–Mohammad Asraful

জবাব: নারী-পুরুষ উভয়ের ক্ষেত্রে নিম্নোক্ত দুইটি বিষয়ের কোন একটি পাওয়া গেলে গোসল ফরজ হবে।

১. যৌনাঙ্গদ্বয় একত্রিত হওয়া এবং প্রবেশ-করানো সংঘটিত হওয়া। এটাই সঙ্গম বা সহবাস। বীর্যপাত হওয়া শর্ত নয়। সুতরাং স্বামী-স্ত্রী একে শৃঙ্গার তথা চুম্বন, আলিঙ্গন, মর্দন ইত্যাদি করার কারণে গোসল ফরজ হয় না। এমন কি স্বামী এবং স্ত্রীর লজ্জাস্থান একটির সাথে আরেকটির কেবল স্পর্শ করলেও গোসল ফরজ হয় না যতক্ষণ না পুরুষাঙ্গের অগ্রভাগ (মাথা তথা সুপারির মত অংশ) নারীর লজ্জা স্থানে প্রবেশ করে (বীর্যপাত ঘটুক অথবা না ঘটুক)।

যেহেতু রাসূলুল্লাহ ﷺ বলেছেন,

‏ إِذَا الْتَقَى الْخِتَانَانِ وَغابت الْحَشَفَةُ فَقَدْ وَجَبَ الْغُسْلُ أنزلَ أو لم يُنزِلْ

যদি খতনার স্থানদ্বয় মিলিত হয় এবং পুরুষাঙ্গের অগ্রভাগ ভিতরে ডুবে যায় তাহলে বীর্যপাত হোক বা না-হোক গোসল ফরজ হবে। (সুনানে আবু দাউদ ২০৯)

২. বীর্যপাত হওয়া। এমনকি সেটা যদি যৌনাঙ্গদ্বয় একত্রিত হওয়া ব্যতিরেকে হাত দিয়ে সম্ভোগ করার কারণে কিংবা শৃঙ্গার তথা চুম্বন, আলিঙ্গন, মর্দন ইত্যাদি করার কারণে সংঘটিত হয়ে থাকে সেক্ষেত্রেও গোসল ফরজ হবে। যেহেতু রাসূলুল্লাহ ﷺ বলেছেন,

فَإِذَا فَضَخْتَ الْمَاءَ فَاغْتَسِلْ

যদি উত্তেজনা বশতঃ বীর্য নির্গত হয় তবে গোসল করবে। (আবুদাউদ ২০৬)

অনুরূপভাবে অপর হাদিসে এসেছে,

إِنَّمَا الْمَاءُ مِنَ الْمَاءِ

পানির (বীর্যপাত হওয়া) কারণে পানি (গোসল) অপরিহার্য। (মুসলিম ১৫১)

والله اعلم بالصواب
উত্তর দিয়েছেন
শায়েখ উমায়ের কোব্বাদী

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

nineteen + 7 =