জিজ্ঞাসা–৮২: মুহতারাম, আমার একটা গোনাহ হয়ে গেছে। আমার স্ত্রীর হায়েজ চলাকালীন আমি সহবাস করে ফেলেছি। এখন আমি কী করলে আল্লাহ আমাকে ক্ষমা করবেন।–নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক।
জবাব: হায়েয অবস্থায় জেনেশুনে স্ত্রী সহবাস করা হারাম। কুরআন মাজীদে আল্লাহ তাআলা ইরশাদ করেছেন,
عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَ ” مَنْ أَتَى حَائِضًا أَوِ امْرَأَةً فِي دُبُرِهَا أَوْ كَاهِنًا فَقَدْ كَفَرَ بِمَا أُنْزِلَ عَلَى مُحَمَّدٍ صلى الله عليه وسلم
আবু হুরাইরা রাযি. হতে বর্ণিত আছে, নবী ﷺ বলেন, যে ব্যক্তি ঋতুবতী নারীর সাথে সহবাস করে অথবা স্ত্রীর গুহ্যদ্বারে সহবাস করে অথবা গণক ঠাকুরের নিকটে যায়- সে মুহাম্মাদ ﷺ উপর যা অবতীর্ণ করা হয়েছে তা (কুরআন) অবিশ্বাস করে। (জামে তিরমিযী ১৩ ইবনু মাজাহ ৬৩৯)
সুতরাং প্রথমত আপনি আল্লাহ তাআলার কাছে তওবা-ইস্তিগফার করুন।
তাছাড়া হায়েযের শুরুর দিকে সহবাস হলে এক দীনার আর শেষ দিকে হলে অর্ধ দীনার সদকা করার কথা কোনো কোনো হাদীসে বর্ণিত হয়েছে। তাই এক্ষেত্রে তাওবা-ইস্তিগফারের পাশাপাশি উপরোক্ত নিয়মে সদকা করে দেওয়া উত্তম হবে।
প্রকাশ থাকে যে, দীনার একটি স্বর্ণমুদ্রা। যা বর্তমান হিসেবে ৪.৩৭৪ গ্রাম সমপরিমাণ স্বর্ণ।
(জামে তিরমিযী, হাদীস ১৩৭; মুসনাদে আহমদ, হাদীস ২২০১; বাযলুল মাজহূদ ২/২৭৮; আলবাহরুর রায়েক ১/১৯৭; ফাতহুল কাদীর ১/১৪৭; ফাতাওয়াল ওয়ালওয়ালিজিয়া ১/৫৭; আদ্দুররুল মুখতার ১/২৯৮)
শায়েখ উমায়ের কোব্বাদী
sukriya