অবৈধ অর্থ উপার্জনকারীর তাওবা

জিজ্ঞাসা–১৩২২: আসসালামুআলাইকুম। আমার বাবা সরকারী চাকরি করেন একসময় অবৈধভাবে কিছু অর্থ উপার্জন করে পরিবারের পেছনে ব্যয় করেছে যদিও খুব বেশি প্রয়োজন ছিল না। এখন কি এটার জন্য ঐ পরিমান টাকা কাফফারা দিতে হবে এবং যদি দেওয়া লাগে কিভাবে দিতে হবে?–নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক।

জবাব: وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته

প্রিয় ভাই, আপনার বাবার দায়িত্ব হল, হারাম সম্পদ যাদের কাছ থেকে গ্রহণ করেছেন যদি তাদেরকে পেয়ে যান তাহলে তাদের প্রাপ্য ফেরত দিবেন। যদি মালিক মারা গিয়ে থাকে তাহলে তার ওয়ারিসদেরকে ফেরত দিবেন। চেষ্টা করেও যদি তাদেরকে না পান, তাহলে এসব মাল তাদের নিয়তে দান করে দিবেন। তাদের জন্যই নিয়ত করবেন, যদিও কেউ কাফের হয়ে থাকে। কেননা আল্লাহ কাফেরদেরকে এ দুনিয়ায় তার প্রতিদান দিবেন। পরকালে তারা (কাফেরেরা) কিছুই পাবে না।

এই মাসআলাটির মত একটি মাসআলা ইবনুল কাইয়্যিম রহ. তাঁর মাদারেজুস সালেকীন নামক গ্রন্থে উল্লেখ করেছেন। মুসলিম বাহিনীর এক সৈনিক গনীমাতের মাল চুরি করে। এর কিছুকাল পরে সে তাওবা করে। অতঃপর সে চুরি করা মালামাল নিয়ে সেনাপতির কাছে হাজির হয়। সেনাপতি তা গ্রহণ করতে অস্বীকার করে বলেন, আমি কিভাবে সকল সৈন্যদের নিকট এসব পৌছাবো? (তারা তো বিভক্ত হয়ে গেছে)। এরপর সে সৈনিক হাজ্জাজ বিন শায়েরের নিকট এসে এ ব্যাপারে ফতওয়া চায়।

তিনি বলেন, হে লোক ! নিশ্চয়ই আল্লাহ সেনাবাহিনীর সকলকে জানেন, তাদের নামধামও অবগত এবং বংশ পরিচয়ও জানেন। সুতরাং তুমি তার প্রাপককে দিয়ে দিবে এবং বাকী ওদের পক্ষ থেকে দান করে দাও। নিশ্চয়ই আল্লাহ তাআলা তাদের আমলনামায় নেকী পৌছে দিবেন।

والله اعلم بالصواب

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

five − one =