আযানের সময় মহিলাদের মাথায় কাপড় দেওয়া

জিজ্ঞাসা–৩৯০: আজানের সময় নারীদের মাথায় কাপড় দেয়া সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে চাই।– Muhaimin

জবাব:

এক- মাথায় কাপড় দেওয়া আজান-সংশ্লিষ্ট কোন আমল নয়; বরং মহিলাদের মাথায় কাপড় তো সব সময় থাকা উচিত। কেননা, আল্লাহ্‌ তাআলা বলেন, يُدۡنِينَ عَلَيۡهِنَّ مِن جَلَٰبِيبِهِنَّۚ “তারা যেন তাদের জিলবাবের কিয়দংশ নিজেদের ওপর টেনে দেয়।” (সূরা আল-আহযাব: ৫৯)

এ আয়াতে ‘জালাবীব’ শব্দ ব্যবহার করা হয়েছে, যা ‘জিলবাব’ শব্দের বহুবচন। আরবী অভিধানের বিখ্যাত গ্রন্থ ‘লিসানুল আরাব’ (১/২৭৩)– এ লেখা হয়েছে, ‘জিলবাব’ ওই চাদরকে বলা হয় যা মহিলারা নিজেদের মাথা থেকে পা পর্যন্ত ঢাকার জন্য ব্যবহার করে।
অভিধান থেকে সরে গিয়ে মুফাসসিরগণের বক্তব্য দেখলেও জানা যায়, ‘জিলবাব’ এমন কাপড়কে বলে যদ্বারা মহিলারা নিজেদের শরীর ঢাকেন। ‘জিলবাব’ অর্থ বড় চাদর, যা দ্ব্লেন,মাথাসহ মুখমণ্ডল ও পূর্ণ দেহ আবৃত করা যায়। (কুরতুবী, আল-জামে‘ লিআহকামিল কুরআন ১৪/২৪৩)

দুই- তবে যদি কোন মহিলার বাসা-বাড়িতে অসতর্কাবস্থায় মাথায় কাপড় না থাকে তাহলে আজানের সময় যদি সে সতর্ক হয় এবং এর আলামত হিসাবে মাথায় কাপড় টেনে আরও শালীন হয়ে ওঠে তাহলে এটা তার আল্লাহভীতির পরিচায়ক। কেননা, আজান আল্লাহ তাআলার বড়ত্ব ও তাসবীহ সম্বলিত কিছু বাক্যের সমষ্টি, যা শরীয়তের গুরুত্বপূর্ণ প্রতীক তথা ‘শিআর’; শিআরের গুরুত্ব স্বীকৃত। আল্লাহ বলেন,

وَمَن يُعَظِّمْ شَعَائِرَ اللَّهِ فَإِنَّهَا مِن تَقْوَى الْقُلُوبِ

কেউ শিআর তথা আল্লাহর নামযুক্ত বস্তুসমুহের প্রতি সম্মান প্রদর্শন করলে তা তো তার হৃদয়ের আল্লাহভীতি প্রসূত। (সূরা হজ ৩২)

উল্লেখ্য, আজান-সংশ্লিষ্ট আমল হচ্ছে, আজানের জবাব দেওয়া, আজান শেষে দরূদ পড়া, এরপর দুআ পড়যা। এই তিনটি আমলের কথা হাদীস শরীফে উল্লেখ আছে।

والله أعلم بالصواب

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

five × 2 =