জিজ্ঞাসা–১৩৬৪: ঘুষ লেনদেনের শাস্তি কি?–সুমাইয়া।
জবাব: ঘুষের হারাম উপার্জন এবং এ অর্থের মাধ্যমে খাবার খাওয়া ব্যক্তির কোনো ইবাদত কবুল হয় না। ঘুষের অর্থে জাকাত, দান-সাদকাও কবুল হয় না। ঘুষের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির কোনো নেক কাজ এবং দোয়াও কবুল হয় না। এমকনি হজ ও ওমরাহ পালনও কবুল হয় না। ঘুষের মাধ্যমে অন্যের প্রতি আর্থিক ও মানসিক জুলুম করা হয় বলে ঘুষখোররা জালিম হিসাবে অপরাধী। আল্লাহ তাআলা বলেন,
إِنَّمَا ٱلسَّبِيلُ عَلَى ٱلَّذِينَ يَظْلِمُونَ ٱلنَّاسَ وَيَبْغُونَ فِى ٱلْأَرْضِ بِغَيْرِ ٱلْحَقِّ ۚ أُوْلَٰٓئِكَ لَهُمْ عَذَابٌ أَلِيمٌ
কেবল তাদের বিরুদ্ধেই ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে, যারা মানুষের উপর জুলুম করে এবং জমিনে অন্যায়ভাবে সীমালঙ্ঘন করে বেড়ায়। তাদের জন্য রয়েছে যন্ত্রণাদায়ক আযাব। (সূরা শূরা ৪২)
রাসূলুল্লাহ ﷺ বলেছেন,
إِنَّ رِجَالاً يَتَخَوَّضُوْنَ فِىْ مَالِ اللهِ بِغَيْرِ حَقٍّ فَلَهُمُ النَّارُ يَوْمَ الْقِيَامَةِ
নিশ্চয়ই যারা অন্যায়ভাবে আল্লাহর সম্পদ আত্মসাৎ করবে, কেয়ামতের দিন তাদের জন্য নির্ধারিত রয়েছে জাহান্নাম। (বুখারী ৩১১৮)
হাদীসে এসেছে,
لَعَنَ رَسُولُ اللَّهِ -ﷺ- الرَّاشِىَ وَالْمُرْتَشِىَ
রাসূলুল্লাহ ﷺ ঘুষদাতা ও ঘুষগ্রহণকারী উভয়কে অভিসম্পাত করেছেন। (আবু দাউদ ৩৫৮২)
শায়েখ উমায়ের কোব্বাদী