তালাকের উদ্দেশ্য ছাড়া তালাক বা এজাতীয় শব্দ লিখলে…

জিজ্ঞাসা–১০৮৪: আসসালামু আলাইকুম। কোন ব্যক্তি যদি কাউকে বুঝাতে চেয়ে কোথাও লিখে যে, আমার মনে এমন সব শর্ত আসে যার ফলে আমার বৈবাহিক সম্পর্ক হারাম হয়ে যেতে পারে। আংশকা বুঝাতে এভাবে বলেছে। এখানে মনে ঠিক কি কথা আসে তার বিস্তারিত কিছু লেখা হই নি। এভাবে কাউকে বুঝাতে চেয়ে কোথাও লেখার ফলে কিন্তু পরে ওই লেখা পাঠানো না হলে তাহলে উক্ত ব্যক্তির বৈবাহিক সম্পর্কে কোন সমস্যা হবে?–আয়েশা আলম।

জবাব: وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته

প্রিয় দীনি বোন, তালাক দেয়ার অধিকার পুরুষের অর্থাৎ স্বামীর। সুতরাং বিবাহ বিচ্ছেদ ঘটে, এমন কোনো বাক্য স্ত্রী তো পরের কথা এমনকি স্বামীর মনে আসলেও এতে স্বামী-স্ত্রীর বৈবাহিক সম্পর্কে কোন সমস্যা হয় না। অনুরূপভাবে তালাকের উদ্দেশ্য ছাড়া শুধু তালাক শব্দ উচ্চারণ করলে বা লিখলেও তালাক হয় না। কেননা, ফকিহগণ বলেছেন,

يشترط بالاتفاق القصد في الطلاق: وهو إرادة التلفظ به

সকলের মতে তালাকের ইচ্ছা থাকতে হবে। আর তাহল, (তালাকের উদ্দেশ্যে) ইচ্ছাকৃতভাবে তালাক শব্দ উচ্চারণ করা। (আল ফিকহুল ইসলামী ওয়া আদিল্লাতুহু ৭/৩৬৮)

তবে তালাক ইসলামে অত্যন্ত স্পর্শকাতর বিষয়। একান্ত শরঈ-প্রয়োজন ছাড়া এর প্রয়োগ গুনাহর কাজ এবং অনিবার্য ক্ষতির কারণ। ইসলামি-শরিয়তে তালাকের পথ খোলা রাখা হয়েছে শুধু অতীব প্রয়োজনের (যা শরীয়তে ওজর বলে গণ্য) ক্ষেত্রে ব্যবহারের জন্য। সুতরাং এর যথেচ্ছা ব্যবহার যেমনভাবে কাম্য নয়, তেমনিভাবে এ নিয়ে অহেতুক চিন্তা করাও উচিত নয়। (উমদাতুল কারী শরহুল বুখারি ২০/২৫৬)

والله اعلم بالصواب
উত্তর দিয়েছেন
শায়েখ উমায়ের কোব্বাদী

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

1 × five =