নামাজের জন্য উত্তম পোশাকের ব্যবহার

জিজ্ঞাসা–৪২১: নারী-পুরুষের এমন পোষাক পরিধান করে নামাজ পড়া জায়েয হবে কি? যে পোষাকে শরীরের অবকাঠামো স্পষ্ট বুঝা যায়। tanisha

জবাব: পোশাকের প্রধান উদ্দেশ্যই হল সতর ঢাকা। আল্লাহ তাআলা বলেন, يَا بَنِي آدَمَ قَدْ أَنزَلْنَا عَلَيْكُمْ لِبَاسًا يُوَارِي سَوْءَاتِكُمْ وَرِيشًا ‘হে বনী আদম! আমি তোমাদের জন্য অবতীর্ণ করেছি পোশাক, যা তোমাদের লজ্জাস্থান আবৃত করে এবং সৌন্দর্য দান করে।’ (সূরা আ’রাফ ২৬)

আলোচ্য আয়াত থেকে বোঝা যায়, যে পোশাক পরিধানের পরও সতর দেখা যায় কিংবা সতরের আকৃতি পোশাকের উপরে ফুটে উঠে তা-ও সতর আবৃত না করার কারণে নাজায়েয পোশাকের অন্তর্ভুক্ত। এ ধরনের পোশাক পরিধান করা হারাম; সুতরাং নামাজে এধরণের পোশাক পরিধান করা যাবে না।

পক্ষান্তরে যে পোশাক পরিধানের পর সতরের আকৃতি পোশাকের উপরে ফুটে উঠে না, তা নামাজে পরিধান করা যাবে। তবে নামাজে কেবল সতর আবৃত করতেই নির্দেশ দেওয়া হয়নি, বরং সাজসজ্জার পোশাকও পরিধান করতে বলা হয়েছে। যেমন, আল্লাহ তাআলা বলেন,يَا بَنِي آدَمَ خُذُواْ زِينَتَكُمْ عِندَ كُلِّ مَسْجِدٍ ‘হে বনী-আদম! তোমরা প্রত্যেক নামাযের সময় সাজসজ্জা পরিধান করে নাও।'(সূরা আ’রাফ ৩১) সুতরাং এমন পোশাক পরেও নামাজ পড়া মাকরুহ, যা পরিধান করে বন্ধু মহল কিংবা সাধারণ লোকের সামনে যাওয়া লজ্জাজনক মনে করা হয়।

উল্লেখ্য, পুরুষের সতর হল নাভির নিচ থেকে নিয়ে হাঁটুর নিচ পর্যন্ত। পক্ষান্তরে মহিলাদের হাত, পা, মুখ ছাড়া পূর্ণ শরীরই সতর।

والله اعلم بالصواب
উত্তর দিয়েছেন
মাওলানা উমায়ের কোব্বাদী
আরো পড়ুন–
☞ ঘুমের কারণে দেরিতে ফজরের নামাজ পড়লে কি গুনাহ হবে?

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

4 × five =