পীর কি ধরতেই হবে?

জিজ্ঞাসা–১২৪৬: আমার কথা আমি পীর মানব না; এতে কি কোনো সমস্যা হবে?–আ:রাজ্জাক।

জবাব: প্রিয় ভাই, মূল জরুরি বিষয় হল, নিজের আত্মাকে যাবতীয় গুনাহর চিন্তা থেকে পরিশুদ্ধ করে নেক আমলের প্রতি আগ্রহী করে তোলা। নিজেকে শয়তানের ধোঁকা থেকে বাঁচিয়ে রেখে পরিপূর্ণভাবে ইসলামে প্রবেশ করা। আল্লাহ তাআলা বলেন,

قَدْ أَفْلَحَ مَن زَكَّاهَا وَقَدْ خَابَ مَن دَسَّاهَا

যে নিজেকে শুদ্ধ করে, সেই সফলকাম হয় এবং যে নিজেকে কলুষিত করে, সে ব্যর্থ মনোরথ হয়। (সূরা আশ শামস ৯, ১০)

অন্যত্র তিনি বলেন,

يَا أَيُّهَا الَّذِينَ آمَنُوا ادْخُلُوا فِي السِّلْمِ كَافَّةً وَلَا تَتَّبِعُوا خُطُوَاتِ الشَّيْطَانِ ۚ إِنَّهُ لَكُمْ عَدُوٌّ مُّبِينٌ

হে ঈমানদারগণ! তোমরা পরিপূর্ণভাবে ইসলামের অন্তর্ভুক্ত হয়ে যাও এবং শয়তানের পদাংক অনুসরণ কর না। নিশ্চিতরূপে সে তোমাদের প্রকাশ্য শত্রু। (সূরা বাকারা ২০৮)

আর উক্ত বিষয়টা একজন হক্কানি পীরের দিকনির্দেশনা পেলে সহজ হয়। শরিয়তের দৃষ্টিতে এটা সুন্নাত। মুহাদ্দিস আবদূল হক্ব মুহাদ্দেসে দেহলভী রহ. তার ‘কওলুল জামিল’ কিতাবে লিখেন, বায়আত গ্রহণ করা তথা হক্কানি পীরের মুরিদ হওয়া সুন্নাত।

সুতরাং পীরের মুরিদ না হলে জান্নাতে যাওয়া যাবে না; যেমনিভাবে এজাতীয় কথা বলা বাড়াবাড়ি ছাড়া কিছুই নয়। অনুরূপভাবে ‘পীরের প্রয়োজন নেই’ একথা বলাও উচিত নয়। আমাদের উচিত সকল বাড়াবাড়ি এবং ছাড়াছাড়ি থেকে দূরে থাকা। আল্লাহ তাওফীকদাতা।

والله اعلم بالصواب
উত্তর দিয়েছেন
শায়েখ উমায়ের কোব্বাদী

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

10 − ten =