বিয়ে কখন ফরয হয়?

জিজ্ঞাসা–১৪২৯: আমার বর্তমান বয়স ২১ বছর ৪ মাস আমার ওপর কি বিয়ে ফরয হয়েছে এবং বিয়ে ফরয হতে হলে কী কী শর্ত আছে? প্লিজ বলুন।–মোঃমানিক মিয়া।

জবাব: যদি সামর্থ থাকার সাথে সাথে চাহিদা এতো বেশি থাকে যে, বিয়ে না করলে ব্যভিচার ধর্ষণ বা হারাম কাজে লিপ্ত হওয়ার ভয় থাকে তখন বিয়ে করা ফরজ। উল্লেখ্য যে, ব্যভিচার ধর্ষণ ছাড়াও কুদৃষ্টি ও হস্তমৈথুনও হারাম কাজের অন্তর্ভূক্ত।

আরব বিশ্বের সর্বোচ্চ ফতোয়া কমিটিকে জিজ্ঞেস করা হয়েছিল, ‘বিয়ে সুন্নত না ফরয?’ তখন তারা উত্তর দিয়েছিল,

الزواج سنة مرغب فيه للمستطيع، لقوله -عليه الصلاة والسلام- : «يا معشر الشباب من استطاع منكم الباءة فليتزوج، فإنه أغض للبصر، وأحصن للفرج، ومن لم يستطع فعليه بالصوم، فإنه له وجاء» وقد يكون في حق بعض الناس فرضا إذا خشي على نفسه من الوقوع في الفاحشة واستطاع مؤنة النكاح

বিয়ে সুন্নাত, সামর্থ্যবানকে এর প্রতি উৎসাহিত করা হয়েছে। কেননা, রাসূলুল্লাহ বলেছেন, হে যুবকের দল! তোমাদের মধ্যে যে বিয়ের সামর্থ্য রাখে, সে যেন বিয়ে করে এবং যে বিয়ের সামর্থ্য রাখে না, সে যেন রোজা পালন করে। কেননা, রোজা যৌন ক্ষমতাকে অবদমন করবে। (বুখারী ১৯০৫)

কিছু লোকের ক্ষেত্রে বিয়েটা ফরয হয়ে যায়; যদি খারাপ কাজে জড়িয়ে পড়ার ভয় করে এবং বিয়ে করার সামর্থ্য রাখে। (ফাতাওয়াল লাজনাদ দায়িমা লিল বুহুসিল ইলমিয়্যা ওয়াল ইফতা, ফাতওয়া নং ৯৬২৪)

والله أعلم بالصواب

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

19 − one =