সমিতির পক্ষ থেকে গাভী কিনে এক ব্যক্তিকে দেয়া হল…

জিজ্ঞাসা–১০০৯: সমিতির পক্ষ থেকে দশ হাজার টাকার বিনিময়ে গাভী কিনে কোনো ব্যক্তিকে দেয়া হল যে, প্রতিদিন সকাল-বিকাল বার টাকা লিটার হিসাবে দুধ দিয়ে গাভীর টাকা পরিশোধ করবে। তাহলে এটা জায়েয হবে হবে কিনা?–সুলাইমান আহমাদ।

জবাব: প্রিয় দ্বীনি ভাই, উল্লেখিত পদ্ধতিতে একজনের লাভ এবং অন্য জনের ক্ষতি রয়েছে, যা ক্রয়-বিক্রয় শুদ্ধ হওয়ার ক্ষেত্রে প্রতিবন্ধক বিধায় পদ্ধতিটি শরিয়তসম্মত নয়। সুতরাং পদ্ধতিটি নাজায়েয।

ফিকহের কিতাবে এসেছে,

وكذلك لو باع عبدا على أن يستخدمه البائع شهرا، أو دارا على أن يسكنها، أو على أن يقرضه المشتري درهما، أو على أن يهدي له هدية؛ لأنه شرط لا يقتضيه العقد وفيه منفعة لأحد المتعاقدين، ولأنه – عَلَيْهِ الصَّلَاةُ وَالسَّلَامُ – نهى عن بيع وسلف. ولأنه لو كان الخدمة والسكنى يقابلهما شيء من الثمن يكون إجارة في بيع، ولو كان لا يقابلهما يكون إعارة في بيع، وقد نهى النبي – – عن صفقتين في صفقة.ـ

‘তদ্রূপ (ক্রয়-বিক্রয় ফাসিদ হবে) যদি বিক্রেতা এই শর্তে কোন গোলাম বিক্রি করে যে, বিক্রেতা একমাস তার সেবা গ্রহণ করবে; কিংবা এই শর্তে কোন বাড়ি বিক্রি করলো যে, বিক্রেতা তাতে বসবাস করবে। কিংবা এই শর্তে যে, ক্রেতা তাকে দিরহাম কর্জ দিবে কিংবা ক্রেতা তাকে কোন উপহার প্রদান করবে। কেননা, এমন শর্ত যা ক্রয়বিক্রয়ের চাহিদা অনুযায়ী নয়। আর তাতে পক্ষদ্বয়ের এক পক্ষের স্বার্থ রয়েছে। তা ছাড়া নবীজি বিক্রয় ও ঋণকে একত্র করতে নিষেধ করেছেন। তাছাড়া সেবা গ্রহণ ও বসবাসের বিপরীতে যদি মূল্যের কোন অংশ নির্ধারণ করা হয় তাহলে সেটা হবে বিক্রয়চুক্তিতে ইজারাচুক্তি অন্তর্ভুক্ত করা। আর তার বিপরীতে মূল্যের কোন অংশ নির্ধারিত না হলে সেটা হবে বিক্রয়চুক্তিতে আরিয়াত (ধার) প্রদানের চুক্তি অন্তর্ভুক্ত করা। অথচ নবীজি এক চুক্তির মধ্যে দুই চুক্তি অন্তর্ভুক্ত করতে নিষেধ করেছেন।’ (হিদায়া ৩/৬০)

আরো পড়ুন- ক্রয়-বিক্রয়ের নামে অভিনব সুদ

والله اعلم بالصواب
উত্তর দিয়েছেন
মাওলানা উমায়ের কোব্বাদী

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

7 − 7 =